‘রাখি বন্ধন’-এর একটি দৃশ্যে রীতা। ইনেসেটে সোহম।
সাত দিন আগে শেষ শুটিং করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’-এর সেটে। পর্দার ‘রাখি’ ও ‘বন্ধন’— এই দুই ভাইবোনের দজ্জাল জেঠিমার ভূমিকায় ছিলেন রীতা কয়রাল। পর্দায় দুই শিশুর ওপর তাঁর নিত্যনতুন অত্যাচার দেখতে দেখতে রেগে যেতেন দর্শক। আর সেখানেই ছিল রীতার সাফল্য। অভিনয়টাই যেন বাস্তব হয়ে উঠত। পর্দায় তিনি যতই নেগেটিভ, বাস্তবে ছিলেন ততটাই পজিটিভ। এমনটাই মনে করে পর্দার ‘বন্ধন’, অর্থাত্ সোহম রায়চৌধুরি।
আরও পড়ুন,লিভার ক্যানসারে মারা গেলেন রীতা কয়রাল
সাউথ পয়েন্টের ক্লাস সেভেনের ছাত্র সোহম ওরফে ‘বন্ধন’ রীতা আন্টির মৃত্যুর খবর শুনেই চলে এসেছে শুটিং ফ্লোরে। রবিবার শুটিংয়ের ডেট নেই। তবুও এই খবরে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া নিখাদ ছুটি কাটাতে পারেনি। ফ্লোর থেকেই সোহম বলল, ‘‘আজ সকালে আমি পড়তে বসেছিলাম। মা ফোন করছিল। হঠাত্ ফোন ছেড়ে বলল, রীতা আন্টি আর নেই। আমি তো প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। তার পর বুঝলাম খবরটা সিরিয়াস। মেনে নিতে পারছি না।’’
আরও পড়ুন: ‘রীতার মতো তাড়াতাড়ি সংলাপ মুখস্থ করতে পারে কম অভিনেতাই’
দজ্জাল জেঠিমার আড়ালে রীতা মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন? সোহমের কথায়, ‘‘স্ক্রিপ্ট হাতে পেলেই রীতা আন্টির মধ্যে নেগেটিভ ভাবটা আসত। তার আগে একদম অন্য রকম। কোনও কিছু ভুল করলে বলে দিত, এটা এ ভাবে নয়, ও ভাবে বল। মেকআপ রুমে গিয়েও অনেক টিপস নিয়েছি।’’
ফোন ছাড়ার আগে গলাটা ধরে এল সোহমের। রীতা আন্টির কাছে সে ছিল ‘বন্ধন’। হ্যাঁ, ছিল। রীতা আন্টির ‘বন্ধন’ ডাকটা আজ থেকে পাস্ট টেন্স।