স্মৃতিচারণায় সোহম
ছোট থেকে বহু গুণী মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম তনু জেঠু। চার-চারটি ছবির জন্য বলেছিলেন আমায়। তখন আমি ছোট। জেঠু মার্চ মাসে ছবির শ্যুটিং করতেন। ঠিক সেই সময়ই থাকত আমার বার্ষিক পরীক্ষা। তাই ছোটবেলায় ওঁর কোনও ছবিই করতে পারিনি।
একটা ছবির সঙ্গে তো ‘শাখা-প্রশাখা’র শ্যুটিংয়ের তারিখ এক হয়ে যাচ্ছিল। তখন আমার মা-বাবাই কেমন দোটানায় পড়ে যায়। একদিকে সত্যজিৎ রায়, অন্যদিকে তরুণ মজুমদার। তখন উনিই বলেন মানিকবাবুর ছবিটাই যেন আমি করি। তখন তো বুঝতে পারিনি তরুণ মজুমদারের ব্যাপ্তি, তাঁর গভীরতা।
বড় হই। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লড়াই শুরু হয়, তখনও আমাকে সুযোগ দেন তনু জেঠু। ‘চাঁদের বাড়ি’ ছবিতে ওঁর পরিচালনায় কাজ করার সুযোগ পাই। কোয়েলের সঙ্গে আমার এক চূড়ান্ত আবেগঘন দৃশ্য ছিল। যে দৃশ্যে একদিকে বাজছে সেতারের সুর, অন্য দিকে উনি দৃশ্য বর্ণনা করে চলেছেন। আর ক্যামেরার সামনে আমি আর কোয়েল। সে এক অন্যরকম মুহূর্ত। আমাকে নিজে হাতে মিষ্টি খাইয়ে দিতেন। আমি মিষ্টি খেতে ভালবাসতাম। নিজের হাতে গরম পান্তুয়া খাইয়ে দিতেন। এই মুহূর্তগুলোই স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে।