দার্জিলিঙে শ্রাবন্তী ও সোহম। ছবি: রবিন রাই।
সদ্য বৃষ্টি থেমেছে। দুপুরের বাতাসিয়া লুপে হাতে গোনা কিছু পর্যটক। তাঁরা দেখলেন, কুয়াশা মেখে এগিয়ে চলেছেন সোহম। পিছনে হন্তদন্ত হয়ে আসছেন শ্রাবন্তী।
আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা ক্যামেরা, ছাতা, আলো দেখে অবশ্য সকলেই বুঝেছেন শ্যুটিং চলছে। বাঙালি পর্যটকদের কাছে কুয়াশা ঢাকা দার্জিলিঙের সঙ্গে বুধবার শ্যুটিং ছিল বাড়তি পাওনা। এ দিন অবশ্য বৃষ্টির কারণে আধঘণ্টা শ্যুটিং বন্ধও ছিল। বৃষ্টি থামলে শুরু হয় সোহম আর শ্রাবন্তীর হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যের শ্যুটিং। গত তিন দিন ধরেই দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকায় শ্যুটিং চলছে। পুজোর আগেই মুক্তির কথা থাকলেও, ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি বলে পরিচালক বীরসা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন। তিনি জানালেন, কুয়াশা মাখা মেঘলা দার্জিলিঙকেই সিনেমার কিছু দৃশ্যে তুলে ধরা রয়েছে।
বীরসা জানালেন আগেও তিনি একাধিকবার দার্জিলিঙে এসেছেন। কখনও ট্রেকিং করতে কখনও বা ঘুরতে। মানেভঞ্জন, সান্দাকফুতে একাধিকবার তিনি ট্রেকও করেছেন। পুরনো অভিজ্ঞতা থাকায় সিনেমার দৃশ্যপট তৈরি করেছেন এখানেই। তাঁর কথায়, ‘‘পরিচালক হিসেবে দার্জিলিঙে এই প্রথম এলাম। তবে এর আগে ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’ বর্ষার দার্জিলিঙকে বেছে নেওয়ার পেছনেও বীরসার ভাবনা রয়েছে। তিনি জানালেন, ‘‘এর আগে দার্জিলিঙে অনেক সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে, কিন্তু বর্ষার সময়ে দার্জিলিঙের একটা নিজস্ব মেজাজ থাকে। কখনও কুয়াশা, ঝিরিঝিরি বা কয়েক পশলা বৃষ্টি দার্জিলিঙের পরিবেশে আবেগ যোগ করে।’’ সিনেমার প্রথম অংশের অনেকটাই দার্জিলিঙে শ্যুটিং বলে পরিচালক জানিয়েছেন।
সিনেমার গল্প নিয়ে অবশ্য পরিচালক বা অভিনেতা-অভিনেত্রী কেউই বেশি জানাতে চাননি। দার্জিলিঙের সিংতাম, সেন্ট পলস স্কুল এলাকায় নানা দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছে। ৯ অগস্ট পর্যন্ত দার্জিলিংঙে শ্যুটিং চলবে। দক্ষিণ কলকাতার উপর ভিত্তি করে একটি প্রেমের গল্প নিয়েই সিনেমার শ্যুটিং। পরিচালক জানিয়েছেন, দেব ও শ্রাবন্তী সিনেমায় দম্পতি। তাঁদের ঘিরেই কাহিনী আবর্তিত হবে। ছবিতে একটি অন্যতম চরিত্রে রয়েছেন সোহমও। পরিচালকের কথায়, ‘‘একটি সিনেমাতেই তিনটি ভিন্ন গল্প রয়েছে।’’ সিনেমায় শ্রাবন্তী দার্জিলিঙের একটি মেয়ের ভূমিকায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গে এর আগেও একাধিকবার শ্যুটিংয়ে এসেছি। দার্জিলিঙের আবহাওয়াও খুব উপভোগ করছি।’’