গায়ক মহম্মদ আজিজ প্রয়াত।—ফাইল চিত্র।
সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন সঙ্গীতশিল্পী মহম্মদ আজিজ। সোমবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই পৌঁছন। সেখানে পৌঁছেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কোনওরকমে তাঁকে নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান গাড়ির চালক। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
১৯৫৪ সালে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে জন্মগ্রহণ করেন মহম্মদ আজিজ। জন্মসূত্রে তাঁর নাম সৈয়দ মহম্মদ আজিজ-উম-নবি। ছোট থেকেই মহম্মদ রফির ভক্ত ছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই সঙ্গীত জগতে প্রবেশ। প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত বাংলা ছবি ‘জ্যোতি’-তে প্রথমবার গাওয়ার সুযোগ পান তিনি। তার পর এক প্রযোজকের সুপারিশে মুম্বই যাত্রা করেন। ১৯৮৪ সালে ‘অম্বর’ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার হিন্দি ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ পান। তবে প্রথম সাফল্য পান অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘মর্দ’ ছবিতে গান গেয়ে।
তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দীর্ঘ তিন দশকের কেরিয়ারে কল্যাণজি-আনন্দজি, লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল, রাহুল দেববর্মণ, ওপি নায়ার, বাপি লাহিড়ী, অনু মালিক, নাদিম-শ্রবণ-সহ একাধিক নামজাদা সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। গান গেয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, গোবিন্দা, ঋষি কপূর এবং মিঠুন চক্রবর্তীর মতো সুপারস্টারদের গলায়।
আরও পড়ুন: ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ কি ঋতুপর্ণর বায়োপিক? মুখ খুললেন কৌশিক-প্রসেনজিত্
আরও পড়ুন: #মিটু? ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও কিছু ইচ্ছের বাইরে হয় না, বললেন শর্বরী
নব্বুইয়ের দশকে তাঁর গাওয়া ‘মাই নেম ইজ লখন’, ‘লাল দুপাট্টা মলমল কা’, ‘চাঁদ গগন সে ফুল চমন সে’, ‘তু মুঝে কবুল’ গানগুলি আজও বেশ জনপ্রিয়। বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া সমেত বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ২০ হাজার গান গেয়েছেন মহম্মদ আজিজ। গেয়েছেন ভজন এবং সুফি সঙ্গীতও। অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মানও পেয়েছেন তিনি।