ফাইল চিত্র।
‘‘দাদার কীর্তি ছবিতে ‘বধূ কোন আলো’ দিয়েই আমার ছবির গানে সাফল্যের হাত ধরা। আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তরুণদা। তার পর থেকে দাদার সব ছবিতেই আমার গান থাকত। আমার উপর খুব ভরসা করতেন তরুণদা। চেয়েছিলেন, ‘আলো’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে শিবাজীর সঙ্গে আমিও থাকি,’’ বললেন চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকবিহ্বল সঙ্গীতশিল্পী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী।
শুধু ছবির কাজের জন্যই নয়, সময় পেলেই তরুণ মজুমদার আড্ডা দিতে চলে আসতেন গায়ক দম্পতির বাড়িতে। সেই আড্ডাও ছিল শুধুই সঙ্গীতময়।
‘‘আমার বাড়ি ছিল ওঁর আড্ডার জায়গা। যেখানে গান নিয়ে আলোচনা, রিহার্সাল—সব হত। এমনও হয়েছে সকাল থেকে রাত অবধি তিনি আমার বাড়িতেই থেকে গেলেন। তখন তাঁর আবদারে রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে হত। ছবির গানের রিহার্সালও আমার বাড়িতেই হত। তরুণদা চেয়েছিলেন ‘আলো’ ছবির সব গান আমিই গাই। তরুণদার ভাবনা ছাড়া এতটা সফল হওয়া সম্ভব ছিল না। ছবিতে কী ভাবে গানের ব্যবহার করতে হয়, কোন গানকে কী ভাবে গাইয়ে নিতে হয়, আমাদের হাতে ধরে শিখিয়েছিলেন’’ বললেন অরুন্ধতী।
পরিশেষে গায়িকার সংযোজন, ‘‘তিনি তো নিজেই এখন আলোর পথযাত্রী! কিন্তু ওঁর অভাবে সঙ্গীত-নির্ভর ছবির জগতে চরম অন্ধকার নেমে এল।’’