এক সময় পিছনের সারিতে থাকা কীর্তন সঙ্গীতকে বাংলা সঙ্গীত রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন অদিতি মুন্সী। ছবি: সংগৃহীত।
বছরের শুরুতে বা কোনও শুভ দিনে, প্রযোজনা সংস্থার তরফে আগামী দিনের একাধিক কাজের ঘোষণা করার রেওয়াজ নতুন নয়। এক সময় বলিউডের দেখানো পথে এখন টলিপাড়াতেও অনেকেই এই রীতি অনুসরণ করে ছবি এবং ওয়েব সিরিজ়ের ঘোষণা করেন। তবে সঙ্গীতজগতে এমন ভাবনা একটু কঠিন বলে মনে হতেই পারে। যেখানে ‘বেসিক গান’-এর অস্তিত্ব এখন নাকি সঙ্কটের মুখে! এক সময় পিছনের সারিতে থাকা কীর্তন সঙ্গীতকে বাংলা সঙ্গীত রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন অদিতি মুন্সী। আরও এক বার কঠিন পথেই হাঁটতে চাইছেন এই জনপ্রিয় শিল্পী। তাঁর ভাবনা ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
রেকর্ডিংয়ের এক ফাঁকে স্টুডিয়োতে সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর সঙ্গে অদিতি। ছবি: সংগৃহীত।
শিল্পীর এই নয়া উদ্যোগের পোশাকি নাম ‘অদিতির বারো গানে বর্ষযাপন’। অর্থাৎ শ্রোতাদের জন্য শিল্পী নিয়ে আসবেন এক বছরে মোট ১২টি গান। বাংলা মাসের মাঝামাঝি সময়ে শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেলে একটি করে গান প্রকাশ্যে আসবে। প্রযোজনায় শিল্পীর নিজস্ব সংস্থা ‘সঙ্গীতম’। এই ভাবনার পিছনে কি বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে? অদিতি বললেন, ‘‘কোনও একক শিল্পী সারা বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করছেন এ রকম হয়েছে বলে মনে পড়ছে না।’’ তবে, অদিতি একা নন। তাঁর উদ্যোগে শামিল হয়েছেন বাংলা সঙ্গীত জগতের বিশিষ্টরা। রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক বললেন, ‘‘গীতায় বলা হয়েছে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই ঈশ্বর রয়েছেন এবং আমরা প্রত্যেকের নিজের মতো করে তাঁর সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করি। তাই শুধু আমার একার নয়, যাঁরা লিখছেন বা সঙ্গীত পরিচালনা করছেন তাঁদের ভাবনাও যাতে প্রকাশ পায় সেই চেষ্টা করেছি।’’
ভিন্ন আঙ্গিকের বারোটি গান। কিন্তু সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে ‘ঈশ্বরভক্তি’। অদিতি বললেন, ‘‘আমরা রাধা-কৃষ্ণের কথা যেমন বলেছি, তেমনই রয়েছেন জগন্নাথদেব। পুরাতনী গানও রয়েছে। আবার কোনও গানে গুরুদেব বা শ্রীচৈতন্যদেবকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের চেষ্টা করেছি।’’ অদিতি জানালেন, সঙ্গীত পরিচালকদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, জয় সরকার, সৌম্য বসু, অরুণাশিস, রণজয় এবং রাহুল শিল্পীর এই উদ্যোগে সম্মতি জানিয়েছেন। অন্য দিকে, গীতিকারদের মধ্যে শ্রীজাত, সুপ্রতীক এবং বারিষ-এর সমর্থন পেয়েছেন। আপাতত গানগুলির সঙ্গীতায়োজন এবং অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের কাজ চলছে। তার পর দ্রুত প্রথম গানের ভিডিয়োর শুটিং শুরু হবে।