পুরো উৎসবটি আইএমডিসি সিলভারস্ক্রিন ভার্চুয়াল মাল্টিপ্লেক্সে দেখা যাবে।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিয়েটিভ মাইন্ড মিরর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সিলভারআই নর্থ আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এতে অন্তত ১১টি দেশের ২০টি শর্ট ফিল্ম ও দু’টি বিশেষ চলচ্চিত্র এবং নানা দেশের তিনটি নাটক প্রদর্শিত হবে। উৎসবে আমেরিকা, ভারত, বাংলাদেশ, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে চলচ্চিত্র বোদ্ধা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও সমালোচকরা অংশ নেবেন। পুরো উৎসবটি আইএমডিসি সিলভারস্ক্রিন ভার্চুয়াল মাল্টিপ্লেক্সে দেখা যাবে।
১৮ সেপ্টেম্বর উৎসবের উদ্বোধন করবেন নিউইয়র্কে ভারতের কনসাল জেনারেল রণধীর জয়সওয়াল। উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবেন ভারতীয়-আমেরিকান ফিল্মমেকার মীরা নায়ার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যান্ড্রে ওয়েস, থিয়েটার স্কলার ফার্লে রিচমন্ড এবং ইতালির পরিচালক অ্যান্টনিও তিবালদি।
উদ্বোধনী দিনে সাংস্কৃতিক পর্বে থাকবেন ওস্তাদ রশিদ খান এবং তাঁর পুত্র আরমান খানের ঘরোয়া যুগলবন্দি এবং বীরসা চট্টোপাধ্যায়ের জ্যাজ পরিবেশনা। এ ছাড়া ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ডান্স গ্রুপ সাফেয়ার ক্রিয়েশনের নাচের পরিবেশনা থাকবে।
এ ছাড়াও তিন দিনব্যাপী ওই উৎসবে অংশ নেবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সাহেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা সকলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন। তা ছাড়াও নাটক নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন কুলভূষণ খারবান্দা, চন্দন সেন এবং শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। উৎসবে ভারত, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, জার্মানি, বেলজিয়াম, স্পেন, গ্রিস, পোল্যান্ড, কিরঘিজস্তান এবং মায়ানমারের ছোটবড় ২০টি চলচ্চিত্র, তিনটি নাটক ছা়ডাও বিশেষ ছবি হিসাবে অপর্ণা সেনের ‘সোনাটা’, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘বৈজু বুলি’ প্রদর্শিত হবে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রযোজনায় এবং প্রেমেন্দু বিকাশ চাকির পরিচালনায় লকডাউন ফিল্ম ‘ল্যাপটপ’-এর প্রিমিয়ার হচ্ছে এই ফেস্টিভ্যালে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উৎসবটি সম্পূর্ণ ভাবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
২০ সেপ্টেম্বর উৎসবের শেষ দিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সঙ্গে আমেরিকার শিল্পী ঈশিতা মিলি এবং তাঁর গ্রুপের একটি নিরীক্ষাধর্মী পরিবেশনা হবে। সরোদ-রিসাইটাল পরিবেশন করবেন পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উৎসবটি সম্পূর্ণ ভাবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রযুক্তির দিক দিয়ে উৎসবটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে দর্শকরা স্বাভাবিক উৎসবের মতোই আমেজ পাবেন।
আরও পড়ুন: আগের বছর বাবা ছিল, এখন আর নেই... ইরফানের জন্য মন কেমন ছেলে বাবিলের
উৎসবের আয়োজক ক্রিয়েটিভ মাইন্ড মিরর-এর কর্ণধার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতু দাশগুপ্ত, সঙ্গে মার্কেটিং পার্টনার হিসাবে পেয়েছেন আমেরিকার বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার শিকাগো, নিউ জার্সির কল্লোল, কানাডার টরন্টো সংস্কৃতি সংস্থা, লন্ডনের বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং অস্ট্রেলিয়ার বেঙ্গলি সেনা ক্লাবকে। টেকনিক্যাল সাপোর্টে আইএমডিসি সিলভার স্ক্রিন এবং ব্যাবস্থাপনাগত সহায়তা দিচ্ছে সৃষ্টি নিউ জার্সি। ইতিমধ্যেই এই ফেস্টিভ্যালটি নিয়ে আমেরিকায় যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে।