সিধু মুসেওয়ালার জন্মতারিখ ট্যাটু করালেন তাঁর মা চরণ কৌর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তিন বছর আগে প্রথম সন্তানকে হারিয়েছেন তিনি। দু’বছর ধরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত চরণ কৌর পুত্রশোকে হাহাকার করেছেন। ২০২৪-এ তাঁর কোলে ফের পুত্রসন্তান এসেছে। কাকতালীয় ভাবে হুবহু মৃত পুত্র সিধু মুসেওয়ালার মতোই দেখতে তাকে। চলতি বছরের ২৯ মে প্রয়াত পঞ্জাবি গায়কের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। দ্বিতীয় সন্তান পেয়েও মা যে তাঁকে ভোলেননি, তার প্রমাণ রাখলেন চরণ।
সম্প্রতি, সিধুর জন্মতারিখ ট্যাটু আকারে হাতে লেখালেন তিনি। সেই ট্যাটুতে জায়গা করে নিয়েছে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মতারিখও। সম্ভবত এ ভাবেই সিধুকে আরও এক বার নিজ শরীরে ‘ধারণ’ করলেন তাঁর মা। দুই ভাইকে গেঁথে দিলেন এক সূত্রে। ট্যাটুশিল্পী সোনু ট্যাটুজ় সম্প্রতি একটি ঝলক সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, তিনি সিধুর মায়ের হাতে ট্যাটু এঁকে দিয়েছেন। যেখানে সিধুর জন্মতারিখের সঙ্গে লেখা তাঁর পুরো নাম, শুভদীপ সিংহ সিধু।
তখন পঞ্জাবি গায়ক সদ্যপ্রয়াত। ছেলের অভাব মেটাতে সেই সময় সিধুর বাবা বলকৌর সিংহ ছেলের মুখ শরীরে ট্যাটু করিয়েছিলেন। তাতে লেখা, ‘শুভ সারওয়ান পুত্তর’। অর্থাৎ, ‘আজ্ঞাবাহী পুত্র’।
এর পর ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন (আইভিএফ)-এর সহায়তায় দ্বিতীয় বার মা-বাবা হন চরণ-বলকৌর। আগামী মাসে সেই সন্তান এক বছর পূর্ণ করবে। ইতিমধ্যেই ট্যাটুশিল্পীর ভাগ করে নেওয়া ভিডিয়ো মন কেড়েছে সিধু অনুরাগীদের। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসাকে কুর্নিশ করেছেন তাঁরা। ভালবাসা, শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত গায়ক এবং তাঁর পরিবারকে। প্রসঙ্গত, ভগবন্ত মান সরকার তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কমানোর এক দিন পরে, ২০২২ সালের ২৯ মে পঞ্জাবের মানসা জেলায় গাড়ি চালানোর সময় সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।