বলকাউর সিধু অনুরাগীদের কাছে আবেদন করেছেন, শিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে যাতে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে জমায়েত করেন পঞ্জাবের মনসায়। —ফাইল চিত্র
বছর ঘুরেছে। সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার দিন কাছে এসে পড়ছে। সেই আবহে আবার নতুন করে শোরগোল। গায়ক-রাজনীতিবিদ প্রয়াত মুসেওয়ালার বাবা বলকাউর সিংহ সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, মুসেওয়ালার বিপুল সংখ্যক অনুরাগীকে ‘বরসাই’ অনুষ্ঠানে সমবেত হওয়া থেকে আটকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ। খলিস্থান সমর্থক অমৃতপাল সিংহের প্রতি পুলিশের আচরণ নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।
বলকাউর সিধু অনুরাগীদের কাছে আবেদন করেছেন, শিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে যাতে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে জমায়েত করেন পঞ্জাবের মনসায়। এখানে মুসেওয়ালার মৃত্যুর সুবিচার প্রার্থনার জন্য পরবর্তী পরিকল্পনাও স্থির করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘জানি, আমাদের উদ্যোগকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায় আমার পুত্রের অনুরাগীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে আসতে আমি অনুরোধ করছি।’’
উল্লেখ্য, পঞ্জাবি ভাষায় এই ভিডিয়োবার্তা দিয়েছেন বলকাউর। তাঁর অভিযোগ, পুত্রের মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টেলিভিশন সাক্ষাৎকারটি তাঁর পুত্রের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন তিনি। সিধুর পরিবারের বক্তব্য, এক জন দাগী অপরাধী জেলে বসে নিজেকে জাতীয়তাবাদী বলছে, এর চেয়ে বড় ভাগ্যের পরিহাস আর কী হতে পারে? গ্যাংস্টারদের সঙ্গে সিধুর ভাবমূর্তি জুড়ে তাঁকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।
গত বছর ২৯ মে ২৯ বছর বয়সি সিধুকে মানসা জেলায় নিজের গ্রামের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ সেই খুনের ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণয়ের কানাডা-ভিত্তিক সহযোগী সন্ত্রাসবাদী দল গোল্ডি ব্রারকে দায়ী করেছে। সিধুর মৃত্যুর পর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন গায়কের পরিবারের সদস্যরাও। যদিও মুসেওয়ালার বাবা-মায়ের অভিযোগ, আম আদমি পার্টির সরকার সমাজমাধ্যমে এবং সংবাদমাধ্যমে নানা ভাবে তাঁদের প্রদান করা সুরক্ষা ব্যবস্থায় ফাটল ধরিয়েছে। মুসে ওয়ালার বাবা সম্প্রতি, ‘প্রকৃত চাঁই’দের গ্রেফতারের দাবি করেছেন। পুত্রের মৃত্যুর জন্য সিবিআই তদন্তের দাবিতে পঞ্জাব বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।