শোভন এবং স্বস্তিকা।
সৌমিত্র-সুজাতা জুটির দীর্ঘ ১০ বছরের মসৃণ সম্পর্কে বড়সড় ফাটল বা শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কেকে ছাপিয়ে টি আরপি রেটিং-এ দ্রুত উঠে এসছে যে দুটো নাম তাঁরা হলেন শোভন-স্বস্তিকা। ইনস্টাগ্রামে তাঁদের ডেটিং- এর ছবি থেকে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। আগামী বছর বিয়ে থেকে বাগদান, উঠে আসছে নানা কথা। এই প্রথম একসঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তাঁরা আনন্দবাজার ডিজিটালের সামনে।
স্বস্তিকা ‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের ফ্লোরে ব্যস্ত। শোভন আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য স্বস্তিকাকে কনফারেন্স কলে ধরলেন।
আপনারা খুব বন্ধু না?
স্বস্তিকা: আমাদের বন্ধুত্বের বয়স আড়াই মাস।কিছু মানুষ হাঁ করলে বুঝে যায় কি বলা হচ্ছে। শোভন আমার সেই রকম বন্ধু। ও বুঝতে পারে আমায়। আমার ওকে শুনতে ভাললাগে। গান বা কথা যখন যেমন।
শোভন: আমি স্বস্তিকাকে ধারাবাহিকে দেখতাম। নিয়ম করে না হলেও দেখতাম। আগে স্বস্তিকা দত্ত বলতে লোকে যা বুঝত আমিও তাই জানতাম। পরে আলাপ হল। তবে আমাদের মেলামেশা খুব সীমিত।
স্বস্তিকা: আমি খুব বকবক করি। আমি একজন শ্রোতা পেয়েছি।
কোথায় প্রথম দেখা?
শোভন: কলকাতার একটা অনুষ্ঠানে আমাদের প্রথম দেখা।
বন্ধুত্ব তো হল। কিন্তু স্বস্তিকা নিজের কেরিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন জানেন আপনি?
স্বস্তিকা: আমার কোনও প্ল্যান নেই। আমার জন্য জীবন আর অভিনয় এক।
শোভন: স্বস্তিকার কাজ নিয়ে আমি বললে বেটার হয়। আমি বলি?
হ্যাঁ। প্লিজ…
শোভন: স্বস্তিকা নিজের কাজ নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে। এমন অনেক কাজ ইতিমধ্যেই আছে. যা ও নিজের পছন্দ হচ্ছে না বলে করছে না।‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিক ওর জীবনের সঙ্গে মিলেমিশে আছে।পরবর্তী সময়ে আমার মনে হয় ও যা কাজ করবে সেখানে কন্টেন্টের গুরুত্ব বেশি থাকবে।সংলাপের জায়গাটা বড় করে আসবে।আমার ওর সঙ্গে মিশে এমনটাই মনে হয়েছে।
স্বস্তিকা: তুই কী সুন্দর করে সবটা বলে দিলি। আমার আর কিচ্ছু বলার নেই। তবে আপাতত ‘কী করে বলব তোমায়’ নিয়ে থাকতে চাই।
শোনা যাচ্ছে শোভন নাকি খুব শিগগিরি মুম্বই যাবেন?
শোভন: এটা একেবারে ভুয়ো খবর।
বন্ধুত্বের বয়স আড়াই মাস হলেও একে অপরকে বোঝেন শোভন-স্বস্তিকা।
শোভনের গান আর স্বস্তিকার অভিনয়, আমরা এমন কিছু দেখতে পাবো না?
শোভন: আসলে আমরা তো প্ল্যান করে কিছুই করিনি। তবে স্বস্তিকা সকাল ৭টায় বেড়িয়ে পড়ে আর বাড়ি ফেরে ৮টায়। তারপরে বেচারির পক্ষে আর কোনও নতুন কিছু করার সময় থাকে না।তবে ভবিষ্যতে দু'জনের কাজ যদি দুজনকে সমৃদ্ধ করতে পারে তা হলে একসঙ্গে নিশ্চয় কাজ করব।
স্বস্তিকা: সত্যি কথা বলছি। একসঙ্গে কাজ নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। এই প্রশ্নটা কিন্তু নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে।তবে ওর গানের ক্ষেত্রে আমার কিছু মনে হলে আমি সেটা ওকে জানাই। আবার আমার অভিনয়ের ক্ষেত্রে ওর যা বলার বলে।
আগামী বছরে শোভনের কী কী কাজ দেখতে পাওয়া যাবে?
শোভন: গান বানাবো। সঙ্গীত পরিচালনা করলাম অভিমন্যুদার (মুখোপাধ্যায়) ছবি। এসভিএফের সঙ্গেও কাজ হচ্ছে। বনি-কৌশানির ‘তুমি আসবে বলে’ ছবিতে জিতদার (গঙ্গোপাধ্যায়) পরিচালনায় গান গাইলাম। ধ্রুবদার (বন্দ্যোপাধ্যায়) ‘গোলন্দাজ’ এ গান গাইলাম। এ ভাবেই চলবে। তবে এখন আমাদের নিয়ে যে সব গাঁজাখুরি গল্প শুরু হয়েছে তাতে আর একসঙ্গে কাজ করা যাবে না বোধহয়।
আরও পড়ুন: মা না বাবা? কার শিক্ষা সারা আলি খানের জীবনে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? জানালেন অভিনেত্রী
গাঁজাখুরি গল্প বলতে?
শোভন: আমি আগে বলি তারপর স্বস্তিকা বলবে। আমরা এই মুহূর্তে যে জায়গা থেকে বন্ধুত্ব করি সেখান থেকে মিডিয়ার খবর পড়ে পাশের বাড়ির পিসিমা এসে আমার মাকে বলেন, ‘হ্যারে কবে আংটি পরালি রে?” খুব অস্বস্তিতে পড়তে হয় জানেন। একটা এরকম স্টোরি তার থেকে ভিডিয়ো, গাদা খানেক আরও স্টোরি। আমি বা স্বস্তিকা এটা হ্যান্ডেল করার জন্য মানসিক দিক থেকে একেবারেই প্রস্তুত নই।
এই প্রতিক্রিয়া শুনে মনে হয় না আপনারা তো সেলিব্রিটি। এ সব তো হবেই।
শোভন: ওই যে বললাম, আমি বা স্বস্তিকা এটা হ্যান্ডেল করার জন্য মানসিক দিক থেকে একেবারেই প্রস্তুত নই। আর শুধু আমাদের নাম নয়। আগে কী হয়েছিল আমাদের জীবনে, সেটা টেনে এনে তার নাম নিয়ে…এগুলো কুরুচিকর।
স্বস্তিকা: আমাদের চেয়ে আমাদের বিষয়ে অন্য লোকেরা বেশি আগ্রহী!
শোভন: স্বস্তিকা আর আমার বাড়ির লোকেরাও শকড! আর ওই আংটিটা ও আগে থেকেই পড়ত। ওর কাছে ছিল সেটা।
স্বস্তিকা: ৪ বছর পুরনো আংটিকে নিয়ে এ ভাবে লেখা হল। আর ছবিটাও তো বেশ পুরনো।
শোভন: আমি চাই আমার কাজের কথা মিডিয়া লিখুক। সম্পর্কের কথা নয়।
এই নতুন সম্পর্ক কি সত্যিই খুব শিগগিরি পরিণতি পাবে?
শোভন: সবে দু-আড়াই মাসের বন্ধুত্ব। তা দিয়ে বিয়ে অবধি যাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: ‘স্বজনপোষণ ও প্রতিভার কদর, দুটোই আছে ইন্ডাস্ট্রিতে’