প্রতীকী ছবি
কাজে ফিরতে চলেছে টলিপাড়া। আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং। আবার চা আর টিভির রিমোট হাতে বসে টিভির সামনে বসে পড়বে বাঙালি, কারণ নতুন এপিসোডের টেলিকাস্ট দেখা যাবে ১৫ জুন থেকেই। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্লোরে সর্বাধিক ৩৫ জনকে নিয়ে শুটিং করতে হবে, শিল্পীদের মধ্যে অন্তত তিন ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলে স্থির হয়েছে বৈঠকে। তা বাস্তবায়িত করার জন্য এর পর থেকে নতুন ভাবে সাজানো হবে চিত্রনাট্য।
বৈঠকে এ-ও ঠিক হয়, শুটিং চলাকালীন কারও করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়লে শুটিং বন্ধ রাখতে হবে। আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বললেন, ‘‘আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার দায় সরকার নেবে। এ ছাড়া এককালীন ২৫ লক্ষ টাকার জীবনবিমার তহবিলও গড়া হয়েছে। যার ৫০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট চ্যানেল, ৪০ শতাংশ প্রযোজক এবং ১০ শতাংশ আর্টিস্ট ফোরাম বহন করবে। কোনও টেকনিশিয়ানের ক্ষেত্রে প্রদেয় অর্থ ভাগ করে নেবে প্রযোজক এবং চ্যানেল।’’
মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহারের মতো প্রাথমিক সুরক্ষাবিধি মেনে চলা ছাড়াও শুটিংয়ে আসা প্রত্যেককে স্যানিটাইজ়িং ডোরের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। ফ্লোর এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ধূমপান করা যাবে না। মেকআপ রুম দু’জন শেয়ার করতে পারবেন, তবে ঘরের আয়তন অনুযায়ী দূরত্ববিধি মেনে ক্ষেত্রবিশেষে চারজনও ব্যবহার করতে পারবেন। শিল্পীরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগত মেকআপ কিট ব্যবহার করবেন। স্বল্প দৈর্ঘ্যের চরিত্রাভিনেতা, যাঁরা দু’তিন জনের বেশি কাজ করবেন না, তাঁদের জন্য প্রযোজকদের তরফে মেকআপ কিট সরবরাহ করা হবে, যা কাজ শেষে ফেরত দিতে হবে। শিল্পীরা নিজেদের কস্টিউম নিজেরাই বাড়িতে কাচা-ধোয়ার ব্যবস্থা করবেন। তবে শুধু বাড়ি থেকে আনার পোশাকের ক্ষেত্রে কাহিনির ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যাগুলো নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। ১০ বছরের কম বয়সের শিশুরা শুটিংয়ে এখনই অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ৬৫ বছরের বেশি বয়সি শিল্পীরা শর্তসাপেক্ষে কাজে যোগ দিতে পারবেন। তার জন্য তাঁদের ‘ফিট’ সার্টিফিকেটের মুচলেকা দেওয়া প্রয়োজন। আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা এখনও বাকি রয়েছে। সিরিয়াল শুরু হলেও সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ়ের শুটিং কবে থেকে এবং কী কী সাবধানতা মেনে শুরু করা যাবে, তা নিয়ে বৈঠক হবে আগামী ৭ জুন। তবে শিগগিরই কাজে ফিরতে পারার আশ্বাস পেয়ে আপাতত স্বস্তিতে টেলি ইন্ডাস্ট্রি।