বাঁ দিকে অমিতাভ বচ্চন, মাঝে ঐশ্বর্যা-অভিষেক, ডানদিকে শত্রুঘ্ন সিনহা।
কিছু দিন আগেই বিবাহিত জীবনের বারো বছর পূর্ণ করলেন অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ২০০৭-এ গাঁটছড়া বাঁধেন এই দুই তারকা। এখনকার মতো তখন ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর তেমন চল ছিল না। মুম্বইয়ে বচ্চন হাউজ ‘প্রতীক্ষা’-র অন্দরেই বসেছিল সেই বিয়ের আসর। কিন্তু জানেন কি সেই হেভিওয়েট বিয়েতে বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি, এর মধ্যে ছিল শত্রুঘ্ন সিনহার নামও। বাতিলের দলে ছিলেন হেমা মালিনীও।
বিগ-বির ‘দোস্তানা’ কো-স্টারের সঙ্গে রিয়েল লাইফে কি বন্ধুত্ব এতটাই কম ছিল যে একমাত্র ছেলের বিয়েতেও আমন্ত্রণ জানাননি তাঁকে? সমালোচকদের মতে, দুই পরিবারের রাজনৈতিক মতভেদ থাকার জন্যই নাকি আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। জয়া বচ্চন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। অন্যদিকে শত্রুঘ্ন সেই সময় বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। সে জন্য নাকি জয়াই চাননি শত্রুঘ্নকে আমন্ত্রণ জানানো হোক। যদিও বিগ-বি কে পরে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, বিগ-বি এই যুক্তি মানতে একেবারেই নারাজ ছিলেন। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “আমি চেয়েছিলাম, আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানকে একেবারেই গোপন রাখতে। আর তা ছাড়া আমার মা-ও সে সময় খুবই অসুস্থ ছিলেন। যে বা যাঁরা আমাদের নিমন্ত্রণ না পেয়ে ভুল বুঝেছিলেন তাঁরা আদপে আমার বন্ধুই নন।”
তবে যাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেননি তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট পাঠিয়েছিল বচ্চন পরিবার। যদিও শত্রুঘ্ন সেই প্যাকেট নিতে অস্বীকার করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, “যব বুলায়া নেহি থা তো মিঠাই কিস বাত কি?’’
আরও পড়ুন-প্রেগন্যান্সির সাড়ে সাত মাস পর্যন্তও শুটিং করেছি: পায়েল
আরও পড়ুন-মারা গেলেন মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পায়েল, শোকবার্তা বলিউডের
এই প্রসঙ্গে এক রিয়ালিটি শো তে পরে জুনিয়র বচ্চনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “শত্রুঘ্ন স্যার মিষ্টি ফেরত পাঠিয়েছেন বলে মোটেও খারাপ লাগেনি। তাঁর আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এ ব্যাপারে। থাকতেই পারে।”
(মুভি ট্রেলার থেকে টাটকা মুভি রিভিউ - রুপোলি পর্দার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)