গত ১৫ বছরে তাঁর কোনও ছবি এতটা ব্যবসা করেনি, যতটা করেছে ‘কবীর সিং’। সেই সাফল্যই কি মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে শাহিদ কপূরের? এমনিতেই তাঁর অ্যাটিটিউডের নানা গল্প ঘুরে বেড়ায় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। এই ছবির সাফল্য তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ‘কবীর সিং’ প্রায় ২৭০ কোটি টাকার ব্যবসা (এখনও হলে চলছে) করার পরেই নিজের পারিশ্রমিক এক ধাক্কায় ৭ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩৩ কোটি টাকা করে দিয়েছেন শাহিদ!
নিখিল আডবাণীর আগামী ছবিতে কাজ করার কথা ছিল অভিনেতার। রাম মাধবানির ছবিতেও তিনি এবং ঈশান খট্টর ছিলেন। দুই পরিচালককেই মৌখিক সম্মতি জানিয়েছিলেন শাহিদ। কিন্তু ‘কবীর সিং’ হিট করার পরেই পুরো পাল্টে গেলেন অভিনেতা। ছবির ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে মতামত তো দিলেনই, তার উপরে বিশাল অঙ্কের পারিশ্রমিক হেঁকে বসলেন।
শোনা যাচ্ছে, দুই পরিচালকই আর শাহিদকে নিতে ইচ্ছুক নন। পারিশ্রমিকের অঙ্ক বাড়ানো নিয়ে নিখিল এবং শাহিদের কথা কাটাকাটিও হয়। পরিচালক অন্য এক নায়কের সঙ্গে নাকি ইতিমধ্যে কথাও বলে নিয়েছেন। রাম মাধবানি দু’জন বাইকারকে নিয়ে একটি অ্যাডভেঞ্চার ড্রামার পরিকল্পনা করেছিলেন। পারিশ্রমিক নিয়ে মতের মিল না হওয়ায় ছবিটি ছেড়ে দেন শাহিদ। ঈশানও জানিয়ে দেন, ছবিটি করছেন না।
ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশের মতে, ‘কবীর সিং’-এর সাফল্যের কারণ গল্প ও ট্রিটমেন্ট। শুধু শাহিদের জন্য ছবিটি হিট হয়েছে, এমনটা বলা যায় না। ‘হায়দর’, ‘উড়তা পঞ্জাব’-এ অভিনেতার প্রতিভা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর এই আচরণে হাতে আসা সাফল্য না পিছলে যায়!