‘মন্নত’ কেনার সময়ের একাধিক ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণায় শাহরুখ। ছবি: সংগৃহীত।
তিন দশকের বেশি সময়ের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। ভাল সময়ে যেমন পাশে থেকেছে, বিপদের সময়েও শক্ত করে হাত ধরে থেকেছেন একে অপরের। তবে, নিজের জীবনের অন্যতম কঠিন সময়ে নাকি গৌরীকে ছেড়ে অচেনা এক ব্যক্তির দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছিল শাহরুখকে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন বলিউডের বাদশা। সম্প্রতি মুম্বইয়ে এক নামী হোটেলে উদ্বোধন হল গৌরী খানের নতুন কফি টেবিল বই ‘মাই লাইফ ইন ডিজ়াইন’-এর। বইপ্রকাশের অনুষ্ঠানে গৌরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান নিজেও। সেখানেই ‘মন্নত’ কেনার সময়ের একাধিক ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শাহরুখ।
বলিউডে নিজের কর্মজীবনের শুরুর দিকে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের কাছেই একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন শাহরুখ ও গৌরী। শাহরুখ জানান, ওই ফ্ল্যাট ছিল তাঁর ছবির পরিচালকের। ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে বাড়ি কেনার মতো পরিস্থিতিতে এসেছিলেন শাহরুখ। তার পরেই ‘মন্নত’ কিনেছিলেন শাহরুখ। বাড়ি তো কিনে ফেলেছেন, এ বার সেই বাড়িকে সাজানোর পালা। কিন্তু বাড়ি কেনার পর তার অন্দরসজ্জার জন্য আর টাকা ছিল না শাহরুখের হাতে। শাহরুখ বলেন, ‘‘আমরা তো বুঝতে পারিনি, মুম্বইয়ে বাড়ির দামই সবচেয়ে বেশি। আমাদের তো এটা জানা ছিল না। মন্নত কেনার পরে আমরা ডিজ়াইনারদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের লাঞ্চে যা খেতে দিয়েছিলেন, তার মূল্য আমার মাসিক পারিশ্রমিকের চেয়েও বেশি।’’ শেষ পর্যন্ত যদিও আর ওই ব্যক্তিকে মন্নত সাজানোর দায়িত্ব দেননি শাহরুখ। তারকা বলেন, ‘‘আমি গৌরীকে বললাম, ‘তোমার মধ্যে তো একটা শিল্পীসত্তা আছে, তুমি কেন আমাদের বাড়ি সাজাচ্ছ না!’ এই ভাবেই মন্নত সেজে উঠেছিল।’’ বছরের পর বছর ধরে একটু একটু করে টাকা জমিয়ে মন্নতকে সাজিয়ে তুলেছেন শাহরুখ ও গৌরী। তবে, এখন নাকি এতই ব্যস্ত গৌরী যে, শাহরুখের ঘর সাজানোর সময় নেই তাঁর। অনুষ্ঠানে মজার ছলে বলেন শাহরুখ।
বলিউডের এত বড় তারকার স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও স্বামীর খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে কখনও নিজের কেরিয়ার তৈরি করার কথা ভাবেননি গৌরী। অনেকটা সময় লাগলেও নিজের পরিশ্রমের উপর ভর করে শুরু করেছেন নিজের সংস্থা। ৪০ বছর বয়স পেরোনোর পর প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন অন্দরসজ্জা শিল্পী হিসাবে। এখন অন্দরসজ্জার জন্য তাঁর শরণাপন্ন হন কর্ণ জোহর, রণবীর কপূর, আলিয়া ভট্ট, সিদ্ধার্থ মলহোত্র থেকে নীতা অম্বানীর মতো তাবড় তারকারা। শাহরুখের কথায়, ‘‘এখন আমাদের বাড়িতে সব থেকে ব্যস্ত মানুষ গৌরী।’’