মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে, সতীশের চিতাভস্ম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে হরিদ্বারের গঙ্গায়। —ফাইল চিত্র
অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই চলে যেতে হয়েছে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-র অভিনেতাকে। কন্যা বংশিকাকে প্রতিষ্ঠিত দেখে যেতে চেয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। শরীরের যত্নও নিতেন শেষ দিকে, ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করতেন— এমনই জানান সতীশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। অভিনেতা অনুপম খেরের বিশেষ বন্ধু ছিলেন তিনি। অনুপমই প্রথম চোখের জলে ভেসে সতীশের মৃত্যুর খবর ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে।
যদিও ৬৬ বছর বয়সে হোলি পার্টিতে নাচার পর ৮ মার্চ রাতে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে সতীশের মৃত্যু বিষয়টিকে জটিল করেছে।
প্রতি দিনই উঠে আসছে নানা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। মৃত্যুকে খুন হিসাবে দেখানোর চেষ্টাও চলেছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সে সব খারিজ হয়েছে। এর মধ্যেই সতীশের ভাইপো নিশান্ত কৌশিক প্রকাশ্যে আনলেন প্রয়াত পরিচালকের অপূর্ণ সাধ, ইচ্ছের কথা।
নিশান্ত বলেন, “নিজের প্রোডাকশন হাউসটিকে আরও বড় চেহারা দিতে চেয়েছিলেন সতীশ। এটাকে একটা বড় স্টুডিয়োয় রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন তিনি।”
নিশান্ত জানান, সতীশ তাঁর আত্মজীবনীমূলক কমেডি ছবি ‘কাগজ়’-এর সম্পাদনা করছিলেন। এখন নিশান্ত ‘কাগজ় ২’-এর সম্পাদনার কাজ শেষ করবেন।
নিশান্ত বলেন, “ভবিষ্যতে প্রযোজনা সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি অনুপম খের এবং বনি কপূরের সাহায্য নেব। তাঁরা পরিবারেই মতো। যদি কোনও প্রয়োজন পড়ে, তাঁদের বলব না কেন?”
নিশান্ত মুখাগ্নিও করেন সতীশের। জানান, তাঁর চিতাভস্ম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে হরিদ্বারের গঙ্গায়।
গত ৯ মার্চ অকস্মাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সতীশের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও তার পর এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। চলতি মাসের ৮ তারিখে দিল্লিতে হোলির পার্টিতে গিয়েছিলেন সতীশ। ছবিও শেয়ার করেছিলেন। সেই রাতেই হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেতা-পরিচালক।