মেয়েকে জীবনে সফল হতে দেখে যেতে চেয়েছিলেন সতীশ। —ফাইল চিত্র
সতীশ কৌশিকের আকস্মিক চলে যাওয়া স্তব্ধ করে দিয়েছে অনেক বলি-তারকাকেই। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সতীশের পুরনো বন্ধু অনুপম খের। প্রয়াত অভিনেতার মরদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যত সময় এগোচ্ছে, সতীশের অভাব টের পাচ্ছেন আরও অনেকে। স্মৃতিচারণ করলেন মৃত অভিনেতার আর এক পুরনো বন্ধু রুমি জ্যাফ্রে। পেশায় পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার রুমি। ঘটনায় এতটাই স্তম্ভিত হয়েছেন যে, কিছু বলতে পারেননি শুরুতে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জানালেন, সতীশের অনেক রকম পরিকল্পনা ছিল। লম্বা আয়ু চেয়েছিলেন যাতে কন্যাকে প্রতিষ্ঠিত দেখে যেতে পারেন।
৮ মার্চ, বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় রুমি খবরটা পেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সতীশের বাড়িতে ছুটে যান। পরিবারের পাশে দাঁড়ান। সতীশের স্ত্রী শশী এবং কন্যা বংশিকা তখন শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। রুমি বলে চলেন, “আমার স্ত্রী শশীর খুব কাছের। ও গিয়ে আগে বংশিকাকে জড়িয়ে ধরে চুপচাপ বসেছিল। আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।” রুমি আরও জানান, সতীশের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ছিল না। সব সময় খুশিতে ডগমগ, কোনও ক্লান্তি ছিল না তাঁর মধ্যে। এক দিন নৈশভোজে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন রুমিকে।
পরিচালকের কথায়, “প্রায় ৩০ বছরের উপর আমাদের বন্ধুত্ব। জাভেদ আখতারের জন্মদিনের পার্টিতেই বলছিল সতীশ, এই কয়েক দিন আগের কথা। অনেক দিন বাঁচতে চেয়েছিল ও। ঠিক সময়ে খাবার খেত। শরীরের যত্ন নিচ্ছিল। কারণ মেয়েকে জীবনে সফল হতে দেখে যেতে চেয়েছিল সতীশ। কিন্তু ঈশ্বর অন্য পরিকল্পনা করেছিলেন।”
জাভেদের হোলির পার্টিতে নেচেছিলেন মৃত্যুর আগের দিনও। রুমির দাবি, সতীশ খুব বেশি সফর করছিলেন। আজ এখানে, কাল সেখানে করেই চলেছিলেন। এতেই ধকল পড়েনি তো? আফসোস রুমির। দিল্লিতে সতীশ যখন তাঁর বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছেন, তখনও রুমি বলেন, “বেশি বাড়াবাড়ি করছ না সতীশ? তোমার বিশ্রাম দরকার।” যথারীতি হেসে উড়িয়ে দেন সতীশ, কিন্তু রুমির আক্ষেপ, কে জানত সেটাই শেষ যাত্রা হবে!