(বাঁ দিকে) শর্মিলা ঠাকুর। সারা আলি খান (ডান দিকে)।। ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংহের যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয়, সারা আলি খানের বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। তার পরে মা আর ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন অভিনেত্রী। বাবার সঙ্গে সারার সম্পর্ক ভালই। সইফ আর করিনা কপূরের বিয়ের পর সারার সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়নি সইফের। ইনস্টাগ্রাম হোক কিংবা ছবিশিকারিদের ক্যামেরা, প্রায়ই বাবার সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা যায় সারাকে। মা খান পরিবার ত্যাগ করার পর ঠাকুরমা শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে জমাটি রসায়ন সারার।
ঠাকুরমা শর্মিলা ঠাকুর। আর নাতনি হালের ‘হার্টথ্রব’ সারা আলি খান। ষাট ও সত্তর দশকে বলিউডে শর্মিলা ঠাকুরে মুগ্ধ হননি, এমন সিনেপ্রেমীর সংখ্যা বিরল। টানা টানা চোখ, বাহারি কেশসজ্জায় বঙ্গললনা রীতিমতো রুপোলি পর্দা কাঁপিয়েছিলেন। রাজেশ খন্নার সঙ্গে শর্মিলার পর্দার রসায়নে মজেছিল বি-টাউন। যদিও ক্রিকেট তারকা মনসুর আলি খান পাটৌডির সঙ্গে বিবাববন্ধনে আবদ্ধ হন শর্মিলা। এক সময়ে যেমন শর্মিলাকে নিয়ে চর্চা হত, তেমনই এখন চর্চায় নাতনি সারা। তাঁর ও কার্তিক আরিয়ানের সম্পর্ক নিয়ে বলিউডের নানা মহলে নানা জল্পনা। এ ছাড়াও সম্প্রতি জাহ্নবী কপূরের প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার ভাইয়ের সঙ্গে সারার প্রেমের চর্চা চলছে। তবে পুরুষ সঙ্গীদের নিয়ে সারা যাবতীয় বুদ্ধি নেন তাঁর ঠাকুরমা শর্মিলার কাছ থেকে। তাঁকে ‘বড়ি আম্মি’ বলেন অভিনেত্রী।
ঠাকুরমাই যে তাঁদের পরিবারের ভিত্তি, সে কথাই জানালেন সারা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেন,‘‘ আমার ঠাম্মাই আমাদের পরিবারের কণ্ঠ। ২০২০ সালে যখন খুব কঠিন সময় দেখলাম, সেই সময় ঠাকুরমাই সামলেছিল। আমার বাবাও ছিল সঙ্গে। ঠাকুরমা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে রাখতে সাহায্য করেন। আমার ঠাকুরমা যেমন ঐতিহ্যকে আগলে রাখেন, ততটাই আধুনিক। আমাকে তো ছেলেদের বিষয়ে ভাল-মন্দ দিকগুলো তিনিই বুঝিয়ে দেন। আমার ঠাকুরমা ‘চ্যাম্পিয়ন’ এ ব্যাপারে। তেমনই সমাজজীবন নিয়ে আমাকে প্রতি মুহূর্তে আগলে রাখনে।’’