(বাঁ দিকে) শার্মিন সেহগল, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। —ফাইল চিত্র।
‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজ়ে আলমজেব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শার্মিন সেহগলকে। শার্মিন বড় পর্দার পরিচিত মুখ নন। তবে অভিনেত্রী হিসাবে এখনও জনপ্রিয় না হয়ে ওঠা শার্মিন শৈশব থেকেই বলিউডের সঙ্গে যুক্ত।
শার্মিনের মা বেলা সেহগল হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সম্পাদক। শার্মিনের মামাও বলিউডের জনপ্রিয় ছবি নির্মাতা। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ভাগ্নি শার্মিন। মামার ছবির মাধ্যমে অভিষেক হল শর্মিনের। কিন্তু তাতেই উড়ে এল কটাক্ষ। ভাগ্নিকে ছবিতে নেওয়ায় স্বজনপোষণের অপবাদ জুটল ভন্সালীর কপালে। উল্টো দিকে শার্মিনের অভিনয় নিয়ে নিরন্তর কাঁটাছেঁড়া দেখে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পর্দার ‘আলমজেব’ নিজেই।
যে কোন ধরনের ঐতিহাসিক আখ্যান পর্দায় ফুঁটিয়ে তুলতে সিদ্ধহস্ত পরিচালক। তবে হীরামন্ডি-র ক্ষেত্রে যেন সবটাই বিরুদ্ধে গেল ভন্সালীর। অনেকেই দাবি করেছেন, কেবলমাত্র তারকা পরিচালকের ভাগ্নি হওয়ার সুবাদে এই চরিত্রে কাস্ট করা উচিত হয়নি শার্মিনকে। কেউ আবার শার্মিনকে বলেছেন ‘ভাবলেশহীন’। সমস্যা রয়েছে তাঁর বাচন ভঙ্গিতেও। কেউ কেউ তো প্রশ্ন তুলেছেন ভন্সালীর জহুরির চোখকে। নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যাচ্ছে শার্মিনের ইনস্টাগ্রাম। শেষে কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দিতে বাধ্য হযেছেন অভিনেত্রী।
একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন থিযেটার করতে শুরু করেন শার্মিন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য নিউ ইয়র্কে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন। কানাঘুষো শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই সঞ্জয়ের সঙ্গে ছবির সেটে উপস্থিত থাকতেন শার্মিন। সঞ্জয় যখন ‘দেবদাস’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত,, তখন ছবির সেটে গিয়েছিলেন শার্মিন। ছোট থেকে অভিনয়ের পরিবেশে বড়ে হয়ে উঠেও তাঁর অভিনয় এই ছবিতে অন্তত দাগ কাটতে পারেনি দর্শক মনে।