গত দু'বছর ধরেই দুবাইয়ের বাসিন্দা সঞ্জয়ের যমজ সন্তান শাহরান এবং ইকরা। মা মান্যতাও থাকেন তাঁদের সঙ্গেই। সাধারণ কাজেকর্মেও সারা ক্ষণ ক্যামেরার উঁকিঝুঁকি! দুই যমজ সন্তানকে তাই কি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন 'মুন্নাভাই'।
পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি সঞ্জয় দত্ত।
কে না জানে তারকা-সন্তান হওয়া ঠিক কতটা কঠিন! আর পাঁচ জন সমবয়সির মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন দূরে থাক, সাধারণ কাজেকর্মেও সারা ক্ষণ ক্যামেরার উঁকিঝুঁকি! দুই যমজ সন্তানকে তাই কি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন 'মুন্নাভাই'।
গত দু'বছর ধরেই দুবাইয়ের বাসিন্দা সঞ্জয়ের যমজ সন্তান শাহরান এবং ইকরা। মা মান্যতাও থাকেন তাঁদের সঙ্গেই। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে সঞ্জয়ও চলে যান দুবাই। পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মাতেন। অভিনেতার কথায়, "আমি খুশি যে আমার দুই ছেলেমেয়ে ওখানে পড়াশোনা করছে। আমার স্ত্রী-ও ওখানেই নিজের কাজ গুছিয়ে নিয়েছে। আমিও কাজের ফাঁকে দুবাই চলে যাই যখন-তখন। এই তো সামনে গরমের ছুটিতেই যাব আবার।"
দুই ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে। তাই এ ভাবে পরিবারকে দুবাইয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি প্রচারের আলো এড়াতেই? 'কেজিএফ ২'-এর অভিনেতার ব্যাখ্যা, "ওরা লকডাউনের আগে থেকেই দুবাইয়ে। আমার স্ত্রী মান্যতার ব্যবসা ওখানেই। তা সফলও হয়েছে। পরিবারের বাস ওদেশে সরিয়ে নেওয়া সে কারণেই। দুবাইয়ের জীবন বা ওখানকার স্কুল আমার ছেলেমেয়েদেরও ভাল লাগছে।"
আরিয়ান খান, নায়সা দেবগণ কিংবা তৈমুর আলি খানদের জীবনের রোজনামচা সারা ক্ষণই পাপারাৎজিদের নজরবন্দি। তা নিয়ে মাঝেসাঝে বিরক্তিও প্রকাশ করে ফেলেন তাঁরা নিজেরা, কিংবা তারকা বাবা-মায়েরা। মুখে যা-ই বলুন, বাবা হয়ে সেটাই কি ঠেকাতে চাইলেন ‘সঞ্জুবাবা’? প্রশ্নটা রয়ে গিয়েছে অনেকেরই।