সঞ্জয় দত্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
একদিকে বক্স অফিসের হিসেব বলছে বলিউড ব্লকবাস্টারের তকমা পেয়েছে রাজকুমার হিরানির ‘সঞ্জু’। অন্যদিকে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। রামগোপাল বর্মা তো ফের সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যেই মুখ খুললেন সঞ্জয় দত্ত।
‘সঞ্জু’তে সঞ্জয়ের ভূমিকায় রণবীর কপূরের অভিনয়ের প্রশংসা হয়েছে সব মহলে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ছবিটি তৈরি নিয়ে। সঞ্জয়ের বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক, ড্রাগ নেওয়া, ১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণ জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে যাওয়া-সহ বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়েছে এ কথা ঠিক। কিন্তু সব জায়গাতেই যেন সঞ্জয়কে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্তত এমনটাই মত বলি মহলের একটা বড় অংশের। অধিকাংশ দর্শকও ছবিটি দেখার পর এ হেন মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, বায়োপিকে সঞ্জয়ের জীবনের সম্পূর্ণ সত্যি কি দেখাতে পারলেন হিরানি?
ঠিক এই প্রশ্নেই এ বার মুখ খুললেন খোদ সঞ্জয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ছবি নির্মাতাদের তিনি নাকি জীবনের সব ঘটনাই জানিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী মান্যতাও সব রকম ভাবে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু নির্মাতারা কতটুকু অংশ ছবিতে রাখবেন সে সিদ্ধান্ত তাঁদের। সঞ্জয়ের দাবি, তাঁর আগের স্ত্রী সন্তানের কথাও তিনি জানিয়েছেন হিরানিকে। কিন্তু তিনি তা কেন ছবিতে রাখেননি, তার জবাব নেই সঞ্জয়ের কাছে।
‘সঞ্জু’র লুকে রণবীর কপূর। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
‘সঞ্জু’ মুক্তি পাওয়ার পর ঠিক এই প্রশ্নগুলোই উঠেছে। কেন সঞ্জয়ের জীবনের সব ঘটনা দেখানো হয়নি বায়োপিকে? তা হলে কি রাজকুমার নিজে যে ভাবে সঞ্জয়কে দেখতে চান সে ভাবেই কি ‘সঞ্জু’ তৈরি করেছেন? যদি তাই হবে, তা হলে ছবির প্রথমে সেই ডিসক্লেমার নেই কেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
আরও পড়ুন, পরিচালনায় জয়জিত্, অভিনেতা হিসেবে অফার কি কম পাচ্ছেন?
সব মিলিয়ে এই জটিলতায় কোনওভাবেই থাকতে চান না সঞ্জয় নিজে। সে কারণেই তাঁর দিক থেকে পুরোটা প্রকাশ্যে বললেন বলে মনে করছেন বলি মহলের একটা বড় অংশ।