সম্প্রতি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন সলমন খান। ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী, ওই সময় সলমনের গাড়ির চালক হরীশ দুলানি মামলার শুনানির দিন অনুপস্থিত ছিলেন।
এ বার মিডিয়ার সামনে ধরা দিলেন সলমনের সেই গাড়ির চালক হরীশ দুলানি। শুধু তাই নয়, যথাযথ নিরাপত্তা পেলে তিনি সলমনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯৮ সালে ‘হাম হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি দোষী সাব্যস্তও হন। পাঁচ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদলতে আপিল করেন সলমন। অবশেষে রাজস্থান হাই কোর্ট ‘বেনিফিট অফ ডাউট’-এ সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে তাঁকে। যে বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল, সেই বন্দুকটি যে সলমন খানেরই এমনটা প্রমাণিত হয়নি আদালতে।
এ মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন সলমনের সে দিনের জিপের চালক হরীশ। কিন্তু তিনি তো ২০০২ সাল থেকেই নিখোঁজ! কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় সলমনের বেকসুর খালাস পাওয়ার পর সেই ‘নিখোঁজ’ চালক সাংবাদিককে বলেন, “আমি ১৮ বছর আগেও যা বলেছি, এখনও তাই বলছি। সলমন খান গাড়ি থেকে নেমে গুলি করে হরিণটিকে হত্যা করেছিলেন।”
তা হলে এই কথাটা তিনি আদালতে গিয়ে জানালেন না কেন?
হরীশ বলেন, “আমার বাবাকে ভয় দেখানো হয়েছে। ভয় পেয়ে আমিও শহরের বাইরে আছি। যদি পুলিশ আমাকে নিরাপত্তা দেয়, তা হলে আমি আমার বয়ান রেকর্ড করতে রাজি আছি।”
হরীশ দুলানির এ হেন দাবির পর কৃষ্ণসার হত্যা মামলা কি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাবে রাজ্য প্রশাসন? যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তা কি পাবেন হরীশ? প্রশাসনের তরফে অবশ্য এর কোনও উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন...
‘সলমনের অ্যাক্টিং স্কিল দেখে কৃষ্ণসার হরিণটা সুইসাইড করেছিল!’