সুইমিং পুল, জিমন্যাসিয়াম থেকে শুরু করে ট্রেক করার জায়গা। মনোরঞ্জনের সব উপাদান মজুত সলমন খানের ফার্ম হাউসে।
মহারাষ্ট্রের পানভেলে ১৫০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সলমনের এই খামারবাড়ি। অবসর যাপনের এই ঠিকানার নামকরণ তিনি করেছেন বোন অর্পিতার নামে।
খান পরিবারের সদস্যরা তো বটেই, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়েও এখানে ছুটি কাটান বজরঙ্গী ভাইজান।
সময় কাটানোর সব রকম উপকরণ হাজির এই বাড়িতে। পাহাড়ি পাকদণ্ডিতে সাইকেল চালানো থেকে শুরু করে সবুজ মাঠে ঘোড়া ছোটানো। ইচ্ছে মতো বাহন বেছে নিলেই হল।
শহুরে স্বাদবদলের জন্য আছে ট্রাক্টর এবং জিপ-ও। যাঁর যেমন পছন্দ, সে রকম গাড়ি বেছে নিতে পারবেন তিনি।
কারও যদি বেশি হৈ চৈ পছন্দ না হয়, তিনি গাছের শীতল ছায়ায় শুয়ে বসে বই পড়ে সময় কাটিয়ে দিতে পারেন দিব্যি।
সলমনের ‘বিশেষ’ বিদেশি বান্ধবী ইউলিয়া ভন্তুর বহু বার তাঁর সঙ্গে নিভৃতে সময় কাটিয়েছেন এই বাড়িতে।
তবে এই বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে সলমনকে আইনি জটিলতাতেও পড়তে হয়েছে। পানভেল পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ঘন অরণ্য ঘেরা অঞ্চল। মহারাষ্ট্রের বন দফতর অভিযোগ করে, এই খামারবাড়ির জন্য স্থানীয় স্পর্শকাতর ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই ফার্ম হাউসেই কাটছে সলমনের লকডাউন পর্ব। ছুটি কাটাতে গিয়ে সেখানে আটকে পড়েছেন সলমন। তবে সলমন একা নন, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভাইজানের গার্লফ্রেন্ড ইউলিয়া ভন্তুরও নাকি ফার্ম হাউসে সঙ্গ দিচ্ছেন সলমনকে।
মার্চের মাঝামাঝি পরিচালক অভিরাজ মিনাওয়ালার সঙ্গে একটি ছবির ব্যাপারে আলোচনা করতে নিজের ফার্ম হাউসে গিয়েছিলেন সল্লু মিয়াঁ। সেই রাজকীয় ফার্ম হাউসে নাকি লকডাউন যাপন করছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজও।
বোন অর্পিতার স্বামী আয়ুষ শর্মার সেই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার কথা। ফলে আয়ুষ-অর্পিতাও হাজির হয়েছিলেন সেখানে।
ভাইজান ডেকে নিয়েছিলেন আর এক বোন আলভিরাকেও। স্বামী অতুলকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনিও। এখানেই শেষ নয়, ভাই সোহেল খানের ছেলে নির্বাণও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে ‘মামু’র ফার্মহাউজে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল।
ইউলিয়ার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ব্যাকগ্রাউন্ড আর সলমনের ফার্মহাউজের অন্দর যেন হুবহু এক!
খাবারের জোগানের জন্য আপাতত তাঁরা ভরসা রাখছেন ফার্মের ফলমূল ও আনাজপাতির উপরেই ভরসা রাখছেন এর বাসিন্দারা। ফলে আগামী কিছু দিন এটাই ঠিকানা খান পরিবারের।
তবে বান্দ্রার বাড়িতে রয়ে গিয়েছেন সেলিম খান ও সলমা খান। যেহেতু এ সময়ে এতটা পথ যাওয়া তাঁদের জন্য ঠিক নয়, তাই আপাতত মুম্বইয়েই গৃহবন্দি তাঁরা দু’জন।