সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
লরেন্স বিশ্নোইদের নিশানায় সলমন খান। লক্ষ্য একটাই, ভাইজানকে হত্যা করা। কৃষ্ণসার হত্যার অভিযোগ রয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। এই কৃষ্ণসারকে পবিত্র মনে করেন বিশ্নোইরা। ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং থেকে সমস্যার সূত্রপাত। সেই সময়েই কৃষ্ণসার শিকারের অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, তব্বুও। কিন্তু কৃষ্ণসারের দিকে নাকি সলমন গুলি ছোড়েননি। মূল হত্যাকারী নাকি অন্য কেউ। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছিলেন ভাইজান। সেই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
২০০৮ সালের এক সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক কৃষ্ণসার হত্যার ঘটনা জানতে চান। সলমন উত্তরে বলেছিলেন, “এর পিছনে বড় গল্প রয়েছে। কৃষ্ণসারের দিকে কিন্তু আমি গুলিটা ছুড়িনি।” তা হলে কেন আসল হত্যাকারীর নাম প্রকাশ্যে আনছেন না অভিনেতা? অবলীলায় ভাইজান উত্তর দেন, “কোনও লাভ নেই।” এই ভিডিয়ো দেখেই সমাজমাধ্যমে নেটাগরিকের প্রশ্ন, ঠিক কী কারণে ভাইজান আসল হত্যাকারীর নাম লুকিয়ে রেখেছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনুরাগীদের দাবি, “ভাইজান মনের দিক থেকে খুবই ভাল। তিনি নির্দোষ। কোনও কারণে তিনি নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়েছেন।”
যদিও কিছু দিন আগে সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলি দাবি করেছিলেন, বুঝতে না পেরে হরিণের দিকে গুলি চালিয়েছিলেন। সেই সময়ে সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সোমি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাদের দেশে আইনকানুন রয়েছে। তা হলে সলমনকে ক্ষমা কেন চাইতে হবে? কেউ যেন খুন না হয়। এগুলো ঠিক না। তাই আমি লরেন্স বিশ্নোইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি ওঁকে বুঝিয়ে বলব, এটা ঠিক হচ্ছে না। নভেম্বরে আমি বিশ্নোই বাহিনীর মূল মাথা দেবেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব। কারণ, লরেন্স বিশ্নোই বোকা। আমি সলমনের হয়ে ক্ষমা চাইব। সলমন নিজে আমাকে বলেছিল, ও জানত না কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করা হয় বিশ্নোই গোষ্ঠীতে।”