সলমনকে বাঁচাতে পারে কে? ছবি: সংগৃহীত।
দর্শকেরা মুখ ফিরিয়েছেন তাঁর থেকে। একের পর এক প্রেক্ষাগৃহে তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিকন্দর’-এর শো বাতিল। সলমন খান কি মুছে গেলেন? বলিউডে গুঞ্জন, অনুরাগীরাই নাকি তাঁকে আর পর্দায় দেখতে চাইছেন না! ভাইজান অবসর নিন, দাবি তাঁদের। অভিনেতা কী ভাবছেন? তিনিও কি অভিনয় থেকে দূরে সরে যেতে চাইছেন? শনিবারের খবর, সলমন তাঁর পুরনো হিট ছবির সিক্যুয়েলের মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের কথা ভাবছেন। ইতিমধ্যেই নাকি তাঁর ২০১৫-র ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর সিক্যুয়েল তৈরির আলোচনা চলছে।
শোনা যাচ্ছে, সলমনও নাকি সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের গল্প বলেছিল এই ছবি। ছবিটি জাতীয় পুরস্কারে তাই সম্মানিত। খবর, এই ছবির সিক্যুয়েলকেই সম্ভবত খড়কুটো হিসাবে আঁকড়ে ধরতে চলেছেন অভিনেতা। ২০২৩ থেকে নাকি পরিচালক-চিত্রনাট্যকার ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে সিক্যুয়েল নিয়ে আলোচনা চলছে সলমনের। রশ্মিকা মন্দনা-সলমনের জুটি রুপোলি পর্দায় ঝড় তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পরেই নাকি ফের পরিচালক-চিত্রনাট্যের বাড়িতে দিন কয়েক আগে আবারও দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। এ-ও শোনা গিয়েছে, ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ আর কবির খান একসঙ্গে কোনও কাজ করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, কবির খান ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর পরিচালক।
এ দিকে ইদে মুক্তি পাওয়া ছবি ব্যর্থ হওয়ার পরেই সলমনের জোরালো প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভাবিত তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরাও। আলোচনায় উঠে এসেছে, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী, কবির খান, আলি আব্বাস জাফর, সুরজ বরজাতিয়ার মতো পরিচালকদের নাম। যাঁরা ভাইজানকে ফের পুরনো ইমেজ ফিরিয়ে দিতে পারেন। সলমনকে দর্শকের সামনে প্রথম গ্রহণযোগ্য করেছিল বরজাতিয়াদের রাজশ্রী প্রযোজনা সংস্থা। তাঁদের ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ সলমনকে ‘প্রেম’ বানিয়েছে। একই ভাবে কবির খানের ‘এক থা টাইগার’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। একই ফলাফল আলি আব্বসের সঙ্গে করা ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’, ‘সুলতান’ ছবির ক্ষেত্রেও। ভন্সালী-সলমন জুটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। সৌজন্যে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
বলিউডের পরামর্শ, এই পরিচালকেরাই একমাত্র সলমনকে পর্দায় ঠিকঠাক উপস্থাপিত করতে পারবেন। ভাইজানের উচিত এঁদের সঙ্গে জুটি বাঁধা।