শাশ্বত ও সৌমিত্র
এক মফস্সল শহরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অখিলবন্ধু, তার নাতনি মউ এবং অখিলবন্ধুর দুই ছাত্র বেকার জয়ব্রত ওরফে পুঁটু ও এলাকার কুখ্যাত গুন্ডা শচীন ওরফে ‘গলাকাটা শচীন’— এরাই এ কাহিনির মূল চরিত্র। গুন্ডা শচীন মউকে বিয়ে করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। নাতনিকে বাঁচাতে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা... সকলের দোরে ঘুরলেও সাহায্য পায় না। এ অবস্থায় অখিলবন্ধু বেকার পুঁটুকে তার নাতনিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়... ঘটনার জটিল আবর্তে ঘুরপাক খেতে থাকে চরিত্রেরা। শেষ পর্যন্ত তারা কী ভাবে তীর খুঁজে পায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের সেই কাহিনি ‘তখন কুয়াশা ছিল’ এ বার পরদায়। পরিচালনায় শৈবাল মিত্র। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অখিলবন্ধুর চরিত্রে, পুঁটুর চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও শচীনের ভূমিকায় বরুণ চক্রবর্তী। আর মউয়ের চরিত্রে দেখা যাবে বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়কে।
এ ছবির চিত্রনাট্য শৈবাল লিখেছিলেন প্রায় তিরিশ বছর আগে। কিন্তু নানা কারণে ছবিটা বানানো হয়নি। তার পর গত ফেব্রুয়ারিতে শ্যুটিং শুরু হয়। পরিচালকের কথায়, ‘‘ছবির নাম যেহেতু ‘তখন কুয়াশা ছিল’, তাই একটু ফগিশ ওয়েদার প্রয়োজন ছিল। ঠিক করেছিলাম শীত আসার মুখে শ্যুট করব। ইলামবাজারের জঙ্গলের পিছনে ধল্লা গ্রামে একটা বাড়ি ছিল আমাদের মূল লোকেশন।’’ সম্প্রতি ছবির শ্যুটিং শেষ হয়েছে।
এক দিকে শাশ্বত, অন্য দিকে সৌমিত্র— এই দুই অসাধারণ অভিনেতার মাঝে বাসবদত্তাকে বেছে নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে শৈবালের উত্তর, ‘‘আমি যখনই চিত্রনাট্য লিখি, মনে একটা ছবি ভেসে ওঠে। সেখান থেকেই মনে হয়েছিল বাসবদত্তার কথা। চরিত্রটা দুর্বোধ্য, সেটা ওর মুখের মধ্যেও রয়েছে।’’ শাশ্বত তাঁর কেরিয়ারের গোড়ার দিকে শৈবালের সঙ্গে কাজ করেছিলেন হিন্দি ‘কালপুরুষ’-এ। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনিও যেন নস্টালজিক। বললেন, ‘‘শৈবালদার সঙ্গে এত দিন পর একটা কাজ করতে পেরে খুব তৃপ্তি পেয়েছি। এটা একটা টাইমলেস গল্প। আর ছবিতে সৌমিত্রজেঠুর সঙ্গেও আমার খুব ভাল কয়েকটি দৃশ্য আছে।’’ নানা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ঘুরে ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছর।