‘চ্যাম্প’-এর একটি দৃশ্যে রুক্মিণী। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
আপনার ডেবিউ ছবি ‘চ্যাম্প’, ক্রেডিট গো’জ টু…?
অনেকেই আছে। দেব, রাজদা…।
একা দেবকে ক্রেডিট দেবেন না?
না, সেটা আনফেয়ার। বরং আমি আনলাকি যে দেবের সঙ্গে ডেবিউ ছবিতে কাজ করেছি।
সেকি! কেন মনে হচ্ছে এটা?
ও এখন যা ফর্মে আছে…। আমার বিশ্বাস এবং আশা করি এটা সকলেই মনে করেন, দেব এখন টপ ফর্মে রয়েছে। আর আমি নতুন। তাই…(হাসি)। আবার একদিক থেকে আমি খুব লাকি যে দেবের সঙ্গে প্রথম ছবিটা করলাম।
নিজেকে লাকি মনে হওয়ার কারণ?
ওর সব হিরোইনরা, মানে মিমি, সায়ন্তিকা, কোয়েল আমাকে বলেছিল, দেব ইজ আ ব্রিলিয়ান্ট কো স্টার। এত হেল্প করবে…তখন আমি বুঝতেই পারিনি কী হেল্প করবে। পরে দেখলাম পারফরম্যান্সের বাইরেও ও এতটা হেল্প করে। যেটা একজন সুপারস্টারের থেকে পেলে খুব সাহস পাওয়া যায়।
দেব আলাদা করে কোনও টিপস দিয়েছেন আপনাকে?
টিপস বলতে…আমার পারফরম্যান্সের পিছনে ওর প্রচুর ক্রেডিট রয়েছে। যেমন প্রথমেই শিখিয়েছিল অ্যাঙ্গেল কনশাস না হতে। যেটা মডেল হলে স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে যায়। গত ১০ বছর ধরে সেটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। এমনই সব ছোটখাট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেব বলেছে আমাকে।
আরও পড়ুন, দেবের নাকি মেয়ের বিয়ে...!
সত্যি বলুন তো, দেব না থাকলে ‘চ্যাম্প’ করতেন?
অনেস্টলি স্পিকিং হয়তো দেবের মতো ছ’মাস আমার পিছনে পড়ে থেকে আর কেউ কনভিন্স করাত না। আর শুধু দেব নয়। প্রথমেই বললাম, রাজদার কথাও বলব। আমাকে রোজ বলে যেত ছবিটা করার জন্য।
দেব ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কাজ করবেন?
এই উত্তরটা দেওয়ার সময় হয়তো এখনও হয়নি। তবে স্ক্রিপ্ট ভাল না হলে কাজ করব না। আমি খুব বেশি কাজ করতেও চাই না। আই ওয়ান্ট কোয়ালিটি ওভার কোয়ান্টিটি।
টেনশন হচ্ছে?
(সামান্য পজ)..হা হা…কতটা খুশি সেটা জিজ্ঞেস করুন। কখনও অভিনয় করব ভাবিনি। আর আজ আমার প্রথম ছবি ‘চ্যাম্প’ একটা ব্র্যান্ড। তবে আমার মতো এত টেনশন, এত প্রেশারও বোধহয় কোনও ডেবিউটান্ট পায়নি। এত স্ক্রুটিনির আন্ডারে থাকেনি। আবার এত ভালবাসাও অন্য কেউ পেয়েছে বলে তো মনে হয় না।
স্ক্রুটিনির আন্ডারে থাকা কি দেবের বান্ধবী বলে?
আমার মনে হয় না। আসলে মডেলিং জগত্ তো বটেই, ফিল্ম জগতেও এত দিন ধরে অনেকেই আমাকে চেনেন। ওঁরা অনেকদিন থেকেই চাইতেন আমি অভিনয় করি। ফলে সেই চাপটা রয়েছে। সকলেই আমাকে সাহস দিচ্ছেন। বলছেন, ভাল হবে। তোর দিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। সেটাই তো স্ক্রুটিনি।
আরও পড়ুন, ‘ভুতু’র নতুন ইনিংস, কী করছে জানেন?
আপনার আর দেবের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রিটা কাজে লেগেছে, বলুন?
না, সেটা একেবারেই কাজ করেনি। কারণ আমি ভেবেছিলাম দেব আমাকে খুব প্যাম্পার করবে। ভালবেসে কাজ হবে। সহজ কলটাইম পাব। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। উল্টে রোজ বকত। হয়তো ভালর জন্যই বকত। কিন্তু আমারও কিছু করার ছিল না। আমি ওখানে যেতামই একটা ফ্রেন্ডলি অ্যাম্বিয়েন্সে। রাজদা, দেব— এরা তো আমার ফ্যামিলিরই অঙ্গ। রাজদা যদি কখনও ব্রেক দিত, দেব এসে বলত, ব্রেক নেওয়ার কী আছে? যদি হাসছি বা মোবাইলে ব্যস্ত রয়েছি তখন বলত, এসব কী হচ্ছে? ডায়লগ পড়, স্ক্রিপ্ট পড়। এটা ইয়ার্কি মেরে হবে না। সকলের সময়ের দাম আছে। আসলে দেব খুব প্রফেশনাল।
‘চ্যাম্প’-এর একটি দৃশ্যে দেব ও রুক্মিণী।ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
‘চ্যাম্প’কেই প্রথম ছবি হিসেবে বেছে নিলেন কেন?
আসলে গত বছর অভিনেতা হিসেবে দেবের ১০ বছর কমপ্লিট হয়। আমারও মডেল হিসেবে ১০ বছর শেষ হয়। ও ভেবেছিল এ বার প্রোডিউসার হবে। আগেই বললাম, সবাই চাইত আমি অভিনয় করি। সবাই বলল, যখন একটা অফার এসেছে করে দেখা যাক। আর চ্যাম্পের স্ক্রিপ্ট ভাল লেগেছিল সেটাও অস্বীকার করতে পারব না। আমি ছবিতে সমান জায়গা চেয়েছিলাম। যতবারই স্ক্রিনে এসেছি আমি পারফর্ম করেছি। যদিও ডেবিউ যে করছে, তার কাছে এটা বেশ কঠিন। কিন্তু ওরা আমার ওপর ভরসা রেখেছিল যে আমি পারফর্ম করতে পারব। ‘চ্যাম্প’-এ আমার অর্নামেন্টাল ভূমিকা সেটা নয়। শুধু একটা গানে পারফর্ম করছি এমন নয়। বরং আমি হিরোর সাহস। ‘শিবাজি’ যখন ভেঙে পড়ছে তখন ‘জয়া’ই ওকে তুলে ধরছে।
ছবি: অনির্বাণ সাহা।