রুদ্রনীল-তনুশ্রী।
বিয়েতে আপত্তি নেই রুদ্রনীল ঘোষের। এখনও সাত পাকে বাঁধা পড়েননি। তবে আইবুড়ো থাকার পণও করেননি মোটেই। সে কথা সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন শনিবার। আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে নিজের প্রেম জীবন নিয়ে অকপট বিজেপির অভিনেতা-কর্মী।
২০১৭ সাল। বিয়ে করবেন, নিজেই ঘোষণা করলেন রুদ্রনীল। পাত্রী, টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী।
২০২১ সাল। লোকসভা নির্বাচনে রুদ্রনীল এবং তনুশ্রী, দু’জনেই নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে। রুদ্রনীল ভবানীপুরে প্রার্থী। তনুশ্রী শ্যামপুর থেকে ভোটযুদ্ধে। একই দলে, তবু পথ আলাদা। কারণ প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে বছর কয়েক আগেই। কী কারণে বিচ্ছেদ?
২০১৭ সালে রুদ্রনীল জানিয়েছিলেন, তিনি বিয়ে করবেন। পাত্রী, তনুশ্রী।
আনন্দবাজার অনলাইনে রুদ্রনীল বলেন, "আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। কিন্তু সেই বন্ধুত্বকেই অন্য আকার-আকৃতিতে নিয়ে যেতে গিয়ে দেখলাম, স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলে অনেক কিছুতে বাধো বাধো ঠেকে। বন্ধু হিসেবে যে কথাগুলো অবলীলায় বলে ফেলা যায়, প্রেমের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তাই আলাদা হয়ে গেলাম আমরা। ও এখন নতুন জীবনে পা রেখেছে। নতুন প্রেমিক আছে ওর। অনেক শুভেচ্ছা।"
তা বলে কি আর বিয়েই করবেন না? সলমন খানের মতো আইবুড়ো থেকে যাবেন রুদ্রনীল? জল্পনা সপাটে নস্যাৎ করে অভিনেতা বললেন, ‘‘বিয়েতে আমার আপত্তি নেই। হতেই পারে, আজ থেকে দু'তিন মাস পরে আমি বিয়ে করে নিলাম।’’ আর সলমনের সঙ্গে তুলনা? কী বলছেন তা নিয়ে? রুদ্রনীল জানান, বলি-তারকাদের সঙ্গে তাঁর জীবনযাত্রার মিল নেই। সাগরপারের তারকারা যে ভাবে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেন, তিনি তা করতে পারবেন না। কারণ রোজগারে আকাশ পাতাল তফাৎ।
এক সময়ে তনুশ্রী তাঁদের মধুচন্দ্রিমার জায়গা বাছাই করতেন। আজ পাহাড়ে গিয়ে ছবির কাজ সেরে ফিরে আসেন দু'জনে। নিছক সহ অভিনেতা-অভিনেত্রী হয়েই। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে পরিচালক শ্রীমন্ত সেনগুপ্তের ছবি 'আবার বছর কুড়ি পরে'-তে অভিনয় করেছেন একদা প্রেমিক-প্রেমিকা।