বনিকে কটাক্ষে বিঁধলেন রুদ্রনীল
বর্তমানে বিজেপি-র অবস্থা কি ‘হারাধন’-এর মতো ? যখন তখন নক্ষত্রপতন। জৌলুসও যেন ক্রমশ ফিকে। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকারের পরে সেই পথে সোমবার বনি সেনগুপ্তও। বেসুরো বেজেছিলেন পুজোর সময় থেকেই। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সারলেন নতুন বছরে। তাঁরও আশাপূরণ না হওয়ার খেদ। একই সঙ্গে অভিনয়ের ব্যস্ততা।
হারাধনের তা হলে আর ক’টি ছেলে রইল বাকি? প্রশ্ন ছিল রুদ্রনীল ঘোষের কাছে। অভিনেতার স্পষ্ট কথা, ‘‘দেনা-পাওনার হিসেব না মিললেই প্রস্থান অনিবার্য। অনিবার্য দলকে দোষারোপ করে ব্যস্ততার অজুহাত খাড়া করা। শ্রাবন্তী, তনুশ্রী, পায়েল তাই করেছেন। বনিও একই কাজ করলেন।’’ তাঁর আরও দাবি, বনি যেমন কাজ করছিলেন তেমনই করছেন। তাঁর চোখে অন্তত সে রকম কাজের বহর চোখে পড়ছে না। তবু পিছু হঠতে গেলে কিছু উত্তর দেওয়ার দায় থাকে। সেই জায়গা থেকেই এই ধরনের মন্তব্য সহজ পন্থা।
একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, কাজ পেতে গেলে শাসকদলের সু-নজরে থাকতে হবে। তার জন্যও যে সমস্ত অভিনেতা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা নির্বাচনের পরে শাসকদলে ফিরে গিয়েছেন। দলের কোনও খামতিই কি নেই? বিজেপি-র বিরুদ্ধতা যাঁরা করছেন তাঁরা কি মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছেন পদ্ম শিবিরকে? রুদ্রনীলের দাবি, ভুল-ত্রুটি সব জায়গাতেই থাকে। তার জন্য আলাপ-আলোচনার রাস্তাও খোলা থাকে। তিনি নিজে প্রয়োজনে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাজ্য সভাপতি থেকে কর্মী-সদস্যরা একাধিক বার তাঁর সঙ্গে পাল্টা যোগাযোগ করেন। একই ভাবে যাঁরা দল ছেড়ে যাচ্ছেন, তাঁরাও যদি এক বার আলোচনায় বসতে চাইতেন নিশ্চয়ই সাড়া পেতেন। তাঁরা থাকবেন বলে আসেননি! তাই সেই চেষ্টাও করেননি।
বিজেপি-তে যোগ দেওয়া অভিনেতারা ব্যস্ত। তাই রাজনীতি ছেড়ে আবার অভিনয় দুনিয়ায়। রুদ্রনীলের হাতে এই মুহূর্তে কাজ কম বলেই কি তিনি এখনও বিজেপি-তে? হাসতে হাসতে অভিনেতার জবাব, ‘‘তা হলে তো আমার শাসকদলে আগে যোগ দেওয়া উচিত! কাজ পাওয়ার খাতিরে।’’ তার পরেই পাল্টা তোপ, ‘‘কে বলেছে আমার কাজ নেই? ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ইমোশনাল থ্রিলার লিখছি। লেখা শেষ হলে হইচই বা জি৫-এর সঙ্গে কথা বলব। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ পাকা খবর দিতে পারব।’’