Shrabanti

Rudranil Ghosh: যাঁরা বিজেপি ছাড়ছেন তাঁরা আদৌ দলে ছিলেন তো! শ্রাবন্তীকেই কি তোপ রুদ্রনীলের?

রুদ্রনীলের অনুযোগ, দলত্যাগ করছেন চার জন। প্রচারে সেটাই হয়ে উঠছে ৪০০! শাসক দল এ ভাবেই নিজেদের ক্ষমতার বড়াই করছে বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২৭
Share:

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ।

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মুম্বই উড়ে গেলেন রুদ্রনীল ঘোষ। যোগ দেবেন অজয় দেবগন অভিনীত হিন্দি ছবি ‘ময়দান’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশের শ্যুটে। আপাতত দিন দুই বলিউডে। বৃহস্পতিবার রাতে মায়ানগরীতে পা রেখেই ফোনে কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।

পরের মাসেও ফের মুম্বই-যাত্রা। হিন্দি ছবির কাজ শেষ হবে চলতি বছরেই। বড় পর্দায় মুক্তি আগামী ৩ জুন। সে কথা জানিয়েছেন অভিনেতাই। তার মধ্যেই উঠে এসেছে আর এক তারকার রাজনৈতিক পালাবদলের কথা। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটে আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবির ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গ তুলতেই শ্লেষ অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রুদ্রর কথায়— ‘‘মাত্র আট মাসের রাজনীতি জীবন! যাঁরা দলত্যাগ করছেন, তাঁরা আদৌ কি দলে ছিলেন?’’

Advertisement

পরিচালক অমিত রবীন্দ্রনাথ শর্মার সৌজন্যে হিন্দি ছবি ‘ময়দান’-এ বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে বাংলার ফুটবল। এ ছবি বলবে জাতীয় স্তরের প্রশিক্ষক সৈয়দ আব্দুল রহিমের কাহিনি। সেই ভূমিকাতেই দেখা যাবে অজয়কে। থাকবেন চুনী গোস্বামীর মতো বাংলার কিংবদন্তি ফুটবলারও। চিত্রনাট্য অনুযায়ী বল পায়ে যেন পর্দায় অজয় বলবেন 'খেলা হবে'। রুদ্রনীলও কি খেলবেন? অভিনেতার পাল্টা রসিকতা, ‘‘অভিনয় করতে গিয়ে অজয় তাঁর চরিত্রের ছায়া হয়ে উঠেছেন। আমি কতটা খেলব, সেটা পর্দা বলবে। তবে আমার চরিত্রও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। চুনী গোস্বামীর অন্তরঙ্গ এক জন। আমার বেশির ভাগ দৃশ্য অজয় এবং গজরাজ রাও, প্রিয়মণির সঙ্গে।’’

ছবি সম্পর্কে আপাতত আর কিছুই জানাতে নারাজ রুদ্র। তবে মুখ খুলেছেন শ্রাবন্তীর দলত্যাগ নিয়ে। স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘শ্রাবন্তীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। তবে নানা কারণেই সম্ভবত অভিনেত্রী দলত্যাগ করেছেন।’’ কারণ হিসেবে রুদ্রনীল সামনে এনেছেন কাজের অভাব এবং প্রতি পদে শাসক দলের হেনস্থার কথা। অভিনেতার দাবি, বিরোধী দলের অভিনেতারা টলিউডে কাজ পাচ্ছেন না। উপার্জন কমলে দিন চলবে কী করে? সেই জায়গা থেকেও গেরুয়া শিবির ছাড়ছেন অনেকে। রুদ্রর দাবি, ‘‘আমি রাজনীতি করতে গিয়ে মার খেয়েছি। সবাই এই অত্যাচার মেনে নেবেন বা সহ্য করবেন, এমন তো কথা নেই!’’ তার পরেই নাম না করে কটাক্ষ— “এমন অনেকেই আছেন যাঁরা নিশ্চিন্ত, নিরুপদ্রব জীবন চান। বিরোধী দলে থাকলে তাঁদের শান্তি প্রতি মুহূর্তে নষ্ট হবে। ক্রমাগত লড়ে যেতে হবে। সেটা অনেকেই পারেন না। তাঁরা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।”
এখানেই শেষ নয়। রুদ্রনীলের আরও অনুযোগ, দলত্যাগ করছেন চার জন। প্রচারে সেটাই হয়ে উঠছে ৪০০! শাসক দল এ ভাবেই যেনতেন প্রকারেণ নিজেদের ক্ষমতার বড়াই করছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement