ছবির মুক্তির আগে তোলপাড়! ছবি: টুইটার।
মুক্তির আগেই বিতর্কে রণদীপ হুডা অভিনীত ‘স্বতন্ত্রবীর সাভরকর’। একে অপরকে ‘দেশবিরোধী’ এবং ‘জাতিবিদ্বেষী’ বলে আক্রমণ শুরু করল চরমপন্থী হিন্দু এবং মুসলিম সংগঠনগুলি। তরজার এক দিকে রয়েছে ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ বা পিএফও। অন্য দিকে, হিন্দু মহাসভা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
২৮ মে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের জন্মদিনে সামনে এসেছে ‘স্বতন্ত্রবীর সাভরকর’ সিনেমার প্রথম ঝলক। নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সেই ক্লিপ টুইট করেন রণদীপ। আগামী অগস্টে সিনেমার মুক্তি। তার আগে সাভরকরের জীবন-নির্ভর তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। পিএফআই-র অভিযোগ, বিজেপি জমানায় ‘দেশবিরোধী’ এক জন ব্যক্তিকে দেশপ্রেমী বলে প্রচারের পন্থা শুরু হয়েছে। গাঁধী হত্যায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত এক জনকে দেশপ্রেমী বলে দাগিয়ে তাঁর সমস্ত অপরাধ লুকনোর মরিয়া প্রয়াস চলছে বলে অভিযোগ করেছে এই চরমপন্থী মুসলিম সংগঠন। পাল্টা পিএফআইকে খোঁচা দিয়েছে হিন্দু মহাসভা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিক্রিয়া, যে সংগঠনের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের ভূরি ভূরি অভিযোগ, তাদের কাছে দেশপ্রেমের শংসাপত্র নেওয়া হাস্যকর।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশলের কথায়, ‘‘যে সংগঠন দেশবিরোধী এবং ভারতবিরোধী, সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ তদন্ত করছে, তারা এখন ‘জাতীয়তাবাদ’ নিয়ে শংসাপত্র বিলোচ্ছে!’’ হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপানি মহারাজের মন্তব্য, ‘‘বীর সাভরকরকে দেশদ্রোহী বলা পিএফআই-কে নিন্দার কোনও ভাষা নেই।’’ সব মিলিয়ে মুক্তির আগেই রণদীপ অভিনীত সিনেমা নিয়ে শুরু বিতর্ক।
‘স্বতন্ত্রবীর সাভরকর’ সিনেমায় সাভরকরের চরিত্রে দেখা যাবে রণদীপকে। ছবিটির পরিচালনা করেছেন একাধিক হিন্দি, মরাঠি, তেলুগু ছবির পরিচালক মহেশ মঞ্জরেকর। সাভরকরের ১৩৯তম জন্মবার্ষিকীতে সামনে এসেছে এই ছবির পোস্টার। যাতে লেখা, ‘হিন্দুত্ব ধর্ম নয়, একটি ইতিহাস।’