ঋষি কপূরের ভক্ত ছিলেন আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। দাউদের আমন্ত্রণে তাঁর ‘চা পার্টি’তেও গিয়েছিলেন ঋষি। একবার নয়, দু’বার দাউদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় বসেছিলেন তিনি। এই বিস্ফোরক তথ্য ঋষি কপূর নিজেই জানিয়েছেন তাঁর আত্মজীবনীতে। কিন্তু এই টুকুতেই যে থামছেন না তার প্রমাণ দিলেন চিন্টু। বই প্রকাশের ঠিক আগে দ্বিতীয় বোমাটি ছাড়লেন। দাবি করলেন, বাবা রাজ কপূরের সঙ্গে বহু নারীর সম্পর্ক ছিল।
বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক-অভিনেতা রাজ কপূরের সঙ্গে নার্গিসের সম্পর্ক নিয়ে আজও চর্চা হয় বি-টাউনের বিভিন্ন মহলে। চর্চায় কখনও উঠে আসে রাজ কপূর-বৈজয়ন্তীমালার সম্পর্কের কথাও। এ বার বলিউডে বিগত ৪০-৫০ বছর ধরে রাজ কপূরকে নিয়ে চলা এই গুঞ্জনগুলোতে শিলমোহর দিলেন তাঁরই ছেলে ঋষি কপূর।
নিজের আত্মজীবনী ‘খুল্লম খুল্লা’-এ ঋষি জানিয়েছেন, এক মহিলায় সন্তুষ্ট থাকতে পারতেন না রাজ। অভিনেত্রী নার্গিস এবং বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে বাবার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ঋষির দাবি, বৈজয়ন্তীমালা কোনও দিনই এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করতেন না।
এত মহিলার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক কেমন ভাবে দেখতেন রাজের স্ত্রী কৃষ্ণা কপূর? এর উত্তরও মিলেছে ‘খুল্লম খুল্লা’-এ। এখানে ঋষি জানিয়েছেন, বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজ কপূরের যখন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তখন কৃষ্ণা কপূর তাঁকে (ঋষি কাপুর) নিয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। মেরিন ড্রাইভের কাছে নটরাজ হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ছেলেকে নিয়ে সেই হটেলেই কাটিয়েছিলেন কৃষ্ণা। স্বামীর সঙ্গে বৈজয়ন্তীমালার সম্পর্ক ভাঙলে তবেই বাড়ি ফেরেন তিনি।
‘খুল্লম খুল্লা’-এ ঋষি জানিয়েছেন, শুধু একাধিক মহিলাই নয়, দামি বিলিতি মদের ব্যপারেও অদ্ভুত ঝোঁক ছিল তাঁর বাবার। তবে এত কিছু পরও বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে ঋষির। আজও নিজের কেরিয়ারে বাবাকেই অভিনয়ের গুরু বলে মনে করেন ঋষি কপূর।
আরও পড়ুন: ‘ব্যাটারি’ বললেই কেন মারতে যাচ্ছেন শাহরুখ?