সুশান্ত-রিয়া।
চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রথম বার সামনে আনলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। সেই চ্যাটে দিদি প্রিয়ঙ্কাকে ‘শয়তান’ বলতেও দেখা যাচ্ছে সুশান্তকে। শুধু তাই নয়, বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির উপর দিদি প্রভাব বিস্তার করছে, এমনটাও লিখতে দেখা গিয়েছে সুশান্তকে।
‘ইন্ডিয়া টুডে’-র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সুশান্তের সঙ্গে চ্যাটের যে সমস্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন রিয়া, তাতে দেখা যাচ্ছে সুশান্ত রিয়াকে লিখছেন, “তোমার পরিবার একেবারে অন্যরকম। সৌভিক (রিয়ার ভাই) খুবই সংবেদনশীল। শুধু সৌভিকই নয়, তুমি যে শুধু আমার, সেই তুমিও একইরকম। তোমাদের সঙ্গে থাকতে আমার খুবই ভাল লাগে। এরকম রকস্টার হওয়ার জন্য চিয়ার্স তোমাদের।” এর পরেই মেসেজে সুশান্ত লিখছেন “প্লিজ হাসো রিয়া। হাসলেই তোমায় সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। একটু ঘুমোনোর চেষ্টা করব আমি এখন। বাই।”
এরপরেই নিজের দিদি প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশে সুশান্তের বক্তব্য, “খুব লজ্জাজনক কাজ করেছে ও। মদের নেশায় তোমার উপর অত্যাচার করে এখন নিজেই ‘ভিক্টিম কার্ড’ খেলছে দিদি।” শুধু তাই নয়, ওই চ্যাটে দেখা যাচ্ছে সুশান্ত নিজের দিদিকে ‘পাক্কা শয়তান’ বলেও কটুক্তি করেছেন। এমনকি সুশান্তের প্রিয় বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে ‘হাত’ করার অভিযোগও এনেছেন প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে।
এই চ্যাট শেয়ার করেছেন রিয়া
যদিও দিন কয়েক আগেই সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রিয়ার জন্যই একটা দীর্ঘ সময় সুশান্তকে ভুল বুঝেছিলেন দিদি প্রিয়ঙ্কা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা ভাই-বোনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল বিশাল এক ব্যবধান। রিয়া অভিযোগ এনেছিল, প্রিয়ঙ্কা তাঁকে অপমান করেছে, গায়ে হাত তুলেছে। সুশান্ত তাই-ই বিশ্বাস করেছিলেন।” যদিও ওই আইনজীবীর দাবি এর কিছু দিন পরেই নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে প্রিয়ঙ্কাকে ফোন করে ক্ষমা চান সুশান্ত। আইনজীবীর কথায়, “রিয়া দুই ভাই বোনকে আলাদা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে সুশান্ত সবটা বুঝতে পেরে রানি দিদি (সুশান্তের বড় দিদি)কে ফোন করলেই তাঁর তিন দিদি, রানি, প্রিয়ঙ্কা এবং শ্বেতা ভাইয়ের কাছে মুম্বই চলে আসেন।
এ দিকে গতকালই সুশান্তের শেষ ছবি ‘ছিছোড়ে’ লেখা একটি সিপার (জলের বোতল) ছবি শেয়ার করে রিয়া জানান, সুশান্তের এই একটি জিনিস ছাড়া আর কিছুই তাঁর কাছে নেই। ডায়েরির একটি ছেঁড়া পাতাও শেয়ার করেছেন রিয়া। তাঁর দাবি, পাতাটি সুশান্তের ডায়েরির । তাতে রিয়ার পরিবারের সম্পর্কে নানা প্রশংসা রয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফা জেরার পর সোমবার ইডির দফতরে আবারও ডাক পড়েছে রিয়ার। ডাকা হতে পারে তাঁর ভাইকেও।
অন্যদিকে গতকালই সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামা পেশ করে মহারাষ্ট্র সরকার বলে বিহার পুলিশের করা এফআইআর এবং সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া...সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে এই দুইয়েরই আইনগত কোনও যৌক্তিকতা নেই।