Hungama 2

Movie review: প্রিয়দর্শনের সেই পুরনো ম্যাজিক নেই

শিল্পা শেট্টি আর মিজ়ানের ‘চুরা কে দিল মেরা’র রিমিক্স অবশ্য মনোরঞ্জন জোগায়। তবে বাকি গান ছবির মেদই বাড়িয়েছে।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১ ০৭:৪৪
Share:

হাঙ্গামা টু ছবির দৃশ্য।

হাঙ্গামা টু

Advertisement

পরিচালক: প্রিয়দর্শন

অভিনয়: পরেশ, মনোজ, রাজপাল, আশুতোষ, শিল্পা, মিজ়ান, প্রণীতা

Advertisement

৪/১০

গল্পের খুব একটা মাথামুণ্ডু থাকতে হবে, এমন নয়। জরুরি হল পরিস্থিতি তৈরি করা। তাতেই হাসতে হাসতে দর্শকের পেটে ব্যথা। সিচুয়েশনাল কমেডির সেরা পরিচালক প্রিয়দর্শন। ‘হেরা ফেরি’, ‘হাঙ্গামা’, ‘হলচল’, ‘ভুল ভুলাইয়া’-র মতো ছবি তাঁর হাত দিয়ে বেরিয়েছে। বহু দিন পরে হিন্দিতে কমেডি ছবি করলেন তিনি। পরিচালকের অন্যান্য ছবির সব খোরাক ‘হাঙ্গামা টু’তে থাকলেও, তা দর্শককে হাসাতে ব্যর্থ। প্রথম ছবির সঙ্গে ডিজ়নি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাওয়া ‘হাঙ্গামা টু’-র মিল বলতে শুধু নামটাই, কাহিনি আলাদা। ছবির ব্যর্থতার প্রধান কারণ, বদলে যাওয়া চলচ্চিত্রের পরিভাষায় ঠাঁই নেই এই ঘরানার। মোটা দাগের হাসির বদলে সূক্ষ্ম রসবোধই দর্শককে বেশি মনোরঞ্জন জোগায় এখন।

ছবির প্রধান চরিত্র আকাশের (মিজ়ান জাফরি) বাবা প্রাক্তন কর্নেল (আশুতোষ রানা) ছেলের বিয়ে ঠিক করে বিত্তশালী বাজাজের (মনোজ জোশী) মেয়ের সঙ্গে। বিয়ের সব ঠিকঠাক, এমন সময়ে আকাশের কলেজের প্রেমিকা বাণী (প্রণীতা সুভাষ) হাজির হয় তিন বছরের একটি বাচ্চাকে নিয়ে। তার দাবি, মেয়েটি আকাশের। এর পর থেকেই শুরু হয় যাবতীয় গোলমাল। অন্য দিকে আকাশের বিদেশবাসী দাদার ছেলেমেয়েরা থাকে দাদুর বাড়িতেই। সেই বিচ্ছুবাহিনীর নানা কাণ্ড ছবিতে ঘটনার সংখ্যা বাড়ানো বই আর কিছু করেনি। সাবপ্লটে রয়েছে অঞ্জলি (শিল্পা শেট্টি) আর রাধের (পরেশ রাওয়াল) দাম্পত্য। ‘হাঙ্গামা’র অঞ্জলি-রাধের চরিত্র এখানেও রয়েছে। মিল রয়েছে রাধের সন্দেহবাতিক স্বভাবেরও।

দর্শককে হাসানোর জন্য দৃশ্যের পর দৃশ্যের অবতারণা করেছেন পরিচালক। কিন্তু কোনও কিছুই ধোপে টেকেনি। পাঞ্চলাইনগুলোও নেহাতই জোলো। পরিচালক তাঁর পছন্দের সেরা অভিনেতাদের নিয়েছিলেন— পরেশ রাওয়াল, মনোজ জোশী, রাজপাল যাদব। কিন্তু কাহিনির বাঁধুনি পোক্ত না হলে, বড় অভিনেতাদেরও কিছু করার থাকে না। আশুতোষ রানা খল চরিত্রে যতটা দড়, কমেডিতে ততটা নন। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার তিনি করতে পারেননি। অথচ কমেডির ময়দানের দুই সেরা সেন্টার ফরওয়ার্ড মনোজ এবং পরেশকে পরিচালক স্রেফ সাইডলাইনে বসিয়ে রেখে দিলেন। মিজ়ান বড় সুযোগ পেলেও, তা কাজে লাগাতে পারেননি। অভিনয়ের ধার বাড়াতে না পারলে, তারকাসন্তান হয়েও তিনি কোনও সুবিধে করতে পারবেন না। শিল্পা বা দক্ষিণী তারকা প্রণীতার এখানে তেমন কিছু করার ছিল না।

ছবির ভাল অংশ দূরবিন দিয়ে খুঁজতে হয়। শিল্পা শেট্টি আর মিজ়ানের ‘চুরা কে দিল মেরা’র রিমিক্স অবশ্য মনোরঞ্জন জোগায়। তবে বাকি গান ছবির মেদই বাড়িয়েছে।

যেমন তেমন করে কাহিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ‘কেয়টিক ক্লাইম্যাক্স’-এর তত্ত্ব এখন বাতিল। ওটিটি এবং কনটেন্টভিত্তিক ছবির জমানায় গল্পের ভাঁজে কমেডির মুচমুচে স্বাদ মিলিয়ে দিতে না পারলে দর্শক সে ছবি গ্রহণ করবেন না, এটা নির্মাতাদের বুঝতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement