আঞ্চলিক সিনেমা তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ করে দেয়, জানালেন পরিচালক নিশিকান্ত কামাত। মরাঠি, তামিল এবং বলিউড— তিন রকম ছবির আঙিনাতেই কামাত যে বেশ স্বচ্ছন্দ, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। মরাঠি ছবি ‘ডোম্বিভালি ফাস্ট’, ‘লাই ভারি’, তামিল ‘ইভানো ওরুভান’ এবং ‘মুম্বই মেরি জান’, ‘ফোর্স’-এর মতো বলিউডি হিন্দি ছবিতে তিনি পরিচয় রেখেছেন তাঁর পরিচালন-দক্ষতার।
কিন্তু কামাতের মতে, মূল ধারার হিন্দি ছবিতে কাজ করতে গেলেই কিছু পূর্ব নির্ধারিত নিয়মের পাল্লায় পড়তে হয়, যা থেকে আঞ্চলিক সিনেমা মুক্ত। তাই যখনই পরীক্ষা-নিরীক্ষার তাগিদ তিনি অনুভব করেন, সরে যান আঞ্চলিক ছবিতে। আঞ্চলিক ছবির ক্ষেত্রে তিনি নতুন অভিনেতা নিতে পারেন, কাহিনি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। কিন্তু মেনস্ট্রিমে, যেখানে বিপুল অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপার রয়েছে, সেখানে এ ধরনের ঝুঁকি নেওয়া যায় না। তবে, কোন ভাষায় তিনি ছবি করবেন, সেটা নির্ভর করছে একান্ত ভাবেই তাঁর সেই সময়কার মুডের উপর। কামাতের মতে, সিনেমার ক্ষেত্রে ভাষা কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়।
এই মুহূর্তে কামাত অপেক্ষা করছেন তাঁর বলিউড-ছবি ‘দৃশ্যম’-এর রিলিজের। ছবিটি একই নামের একটি মলয়ালম ছবির রিমেক। ‘দৃশ্যম’-এ রয়েছেন অজয় দেবগণ, শ্রিয়া শরণ এবং তব্বু। কামাত আরও জানালেন, ‘দৃশ্যম’-এর শ্যুটিং হওয়ার কথা ছিল এই সময়। কিন্তু অজয়ের নিজের প্রোডাকশনের ‘শিবায়’-র কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় ১৩ মার্চ থেকে ১৮ মে-র মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ‘দৃশ্যম’-এর শ্যুটিং। এত দ্রুত তিনি কখনও ছবি তোলেননি— স্বীকারোক্তি কামাতের।
‘দৃশ্যম’-এর ঠিক পরেই, অক্টোবরে রিলিজ করার কথা জন আব্রাহাম অভিনীত ‘রকি হ্যান্ডসাম’-এর। আর জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে ‘মাদারি’। এতে রয়েছেন ইরফান খান। এই তিনটি ছবিই পরস্পরের চাইতে আলাদা চরিত্রের। ‘দৃশ্যম’ সাসপেন্স থ্রিলার, ‘রকি হ্যান্ডসাম’ অ্যাকশনধর্মী। অর ‘মাদারি’ এদের থেকে একবারেই আলাদা। এ ছবিতে কোনও গানই প্রায় নেই, এ ছবির বিষয় এক সাধারণ মানুষের সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই। এই বিষয়-বৈচিত্র্যকে তিনি উপভোগই করছেন, কামাতের মন্তব্য।