‘দেব আই লাভ ইউ’ ছবির দৃশ্যে দিতিপ্রিয়া
পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুপুর দেড়টায়। আর তার পরেই বাড়ি ফিরে মায়ের হাতের মাছের ঝোল-ভাত খেয়েই সোজা ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োর শুটিং ফ্লোরে দৌড়লেন ‘রানি রাসমণি’! তবে করোনাভাইরাস নিয়ে কোনওরকম সতর্কতা নিচ্ছেন না দিতিপ্রিয়া।
সঙ্গে মা। জানেন না, কত রাতে ফিরবেন। উচ্চ মাধ্যমিক চলছে বলেই যে দিতিপ্রিয়া রায় ছুটি পাবেন এমনটা একেবারেই নয়! ‘‘আমাকে সবসময় চাপে রাখতে হয়। ছোটবেলা থেকেই টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখিয়েছি। চোদ্দো বছর এ ভাবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে দিল ও। তবে পরীক্ষা চলছে তো, তাই বাইরের কোনও খাবারই খাচ্ছে না ও, এমনকি চকোলেটও নয়।’’ স্টুডিয়োপাড়ার দিকে যেতে যেতে বললেন দিতিপ্রিয়ার মা সুদীপ্তা রায়।
মাধ্য়মিকে ইংরিজিতে লেটার মার্কস পেয়েছিলেন দিতিপ্রিয়া। মা জানালেন, ‘‘ ভবিষ্যতে ও সোশিয়োলজি নিয়ে পড়তে চায়।’’
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে খালি করা হল ইনফোসিস অফিস, দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৮৩
টানা ছুটি নেননি দিতিপ্রিয়া। কারণ, তাঁর ঘাড়ে যে ‘রানি রাসমণি’র শুটিংয়ের ভারও। শুট করে বাড়ি ফিরেই আবার পড়তে বসেছেন। শুক্রবার শুটিং থেকে ছুটি নিয়েছেন। সারা দিন পড়াশোনা করেছেন। আজ, শনিবার আবার ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। সোম ও মঙ্গলবার পরীক্ষা থেকে ছুটি। বুধবার আবার পরীক্ষা। এই অবসরে টানা শুটিং চালিয়ে যাবেন ‘রাসমণি’।
উচ্চ মাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা থাকলে আর সবাই যখন বইয়ে মুখ গুঁজে পড়ে থাকে, সেখানে দিতিপ্রিয়া নিঃসন্দেহে এক বিরল দৃষ্টান্ত। তাঁর মা সুদীপ্তা বলছেন, ‘‘শুটিং আর পড়াশোনা ওর জীবনে একে অন্যের পরিপূরক। কোনও একটা নিয়ে ও পড়ে থাকে না।’’
ক’দিন পরেই দিতিপ্রিয়া হয়ে উঠবেন কলেজ গার্ল! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৩ মার্চ। পরীক্ষার ফল বেরোলেই কলেজে ভর্তি হবেন তিনি। যদিও কোন কলেজে পড়বেন এখনও স্থির হয়নি। গত বৃহস্পতিবার বাংলা পরীক্ষা দিয়েছেন। জানা গেল, পরীক্ষা ভালই হয়েছে।
পরীক্ষা মানেই সব ছেড়ে বইপত্র নিয়ে বসে থাকা তাঁর স্বভাব নয়। এমনকি, রীতিমতো রং মেখে বন্ধু ও বাড়ির মানুষদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবও পালন করেছেন। সামলাচ্ছেন শুটিংয়ের দায়িত্বও।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত বৃদ্ধার শবদাহে আপত্তি, দিল্লির নিগমবোধ ঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের
তাঁর সহ-অভিনেতা ‘রামকৃষ্ণ’ সৌরভ সাহা বললেন, “দিতিপ্রিয়া খুব ম্যাচিওর। বাচ্চা মেয়ে হলেও খুব বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ। এই ব্যক্তিত্ব আছে বলেই রাসমণির চরিত্র খুব ভাল ভাবে করছে। এই কারণেই ওর জীবনের সব কিছু সুন্দর করে সামলাতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েও ও কিন্তু শুটিং করছে। ফলে ওর কারণে শুটিং বন্ধ হয় না। পরীক্ষাতেও ও ভাল রেজাল্ট করবে, আমি সিওর।”