পরিচালক রামগোপাল বর্মা (বাঁ দিকে), অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভৌতিক ছবি দেখে দর্শক দারুণ ভয় পেলে পরিচালক তাঁর সৃষ্টি সার্থক মনে করেন। ‘ভূত’ নিয়েও তেমনই সাড়া পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। তবে চমক বাকি ছিল। ছবিটি দেখার পর অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন নাকি মারতে যাচ্ছিলেন রামগোপালকে!
২০০৩ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়েছিল ‘ভূত’। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগন এবং উর্মিলা মাতন্ডকর। দু’দশক কেটে গেলেও এই ছবি নিয়ে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারেননি রামগোপাল। পরিচালক জানান, ছবিমুক্তির পর খুবই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের কাছে। দর্শকও পর্যাপ্ত বিনোদন পেয়েছিলেন বলেই বোঝা যায়। রামগোপালের মা নিজেই নাকি ছবিটি দেখার পর আতঙ্কে ঘরের জানলা খুলতেন আর বন্ধ করতেন!
তবে অবাক করেছিলেন অমিতাভ। তিনি রামগোপালকে বলেছিলেন, “আমি তোমাকে মারব ভেবেছিলাম। নিজেকেই ঘৃণা হচ্ছিল, কেন যে দেখতে এলাম ছবিটা!”
এত খারাপ হয়েছিল ‘ভূত’? অমিতাভ পরমুহূর্তেই বলেন, “একটা ভূতের ছবির কাজই তো এই অস্বস্তিটা তৈরি করা। সেটা সার্থক ভাবে করেছে তোমার ‘ভূত’!” অমিতাভের কথায় শুরুতে চমকে গেলেও প্রশংসা হিসাবেই নিয়েছিলেন পরিচালক। অমিতাভ আরও বলেন, “ভয় হোক বা অন্য কোনও আবেগ, একটা ভাল সিনেমা দেখে সেটার পূর্ণ মাত্রায় বহিঃপ্রকাশ ঘটবে, সেটাই তৃপ্তির বিষয়।”
‘ভূত’-এ অভিষেক বচ্চনের কাজ করার কথা হয়েছিল প্রথমে। রামগোপালের সহ-লেখক সমীর শর্মা জানিয়েছিলেন সে কথা। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে অভিষেকের কাজ করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। তখন আমি আর রাম অজয় দেবগনের কাছে যাই। চিত্রনাট্য ছিল না। তিন মিনিটের আলোচনায় অজয় রাজি হয়ে যায় ছবিটা করতে।”
চরিত্রটি ছিল অন্য রকম। অজয় করতে রাজি হবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন রামগোপাল। তিনি বলেন, “আমি অনিশ্চিত ছিলাম ও কী বলে সেটা নিয়ে, কারণ ওর ইমেজটা ছিল অ্যাকশন হিরোর। ও তো নায়ক, ওকে খলনায়কেরা ভয় পায়। সেখানে এই ছবিতে ও-ই ভয় পাবে, এমনটা দেখাতে হত। ওকে বলেওছিলাম সে কথা। সেই ভয়ের ব্যাপারটা ও কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারবে, চিন্তা ছিল আমার।”
উত্তরে অজয় বলেছিলেন, “এত ভয় পাব যে ভাবতেই পারবেন না! আমার চেহারায় সেটা ফুটে উঠবে।” ‘ভূত’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নানা পটেকর, তনুজা, রেখা প্রমুখ।