রজনীকান্ত কি রাজনীতিতে আসছেন? এ প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে ২০১৬-এর ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুর পর অনেকেই ভেবেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ হিসেবে হয়তো এ বার রজনী রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন। এ বার এই জল্পনাকে আরও উস্কে দিলেন রজনী স্বয়ং। না, সরাসরি এই সম্ভাবনার কথা তিনি উড়িয়ে দেননি। বরং সবটাই ছেড়ে দিয়েছেন ভগবানের হাতে!
অনুরাগীদের নিয়ে ‘দরবার’ করা রজনীর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। কিন্তু সেই অভ্যাসেও বিরতি পড়েছিল গত আট বছর। ২০০৯-এ তাঁর ছবি ‘শিবাজি’র সাফল্যের পর শেষ এই ধরনের জমায়েত হয়েছিল। সোমবার ফের সেই ‘দরবার’ বসিয়েছিলেন তারকা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি জীবনে কী কী করব তা ভগবানের সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে তিনি চাইছেন আমি অভিনয় করি। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি। যদি ভগবান চান, আমি হয়তো আগামীকাল রাজনীতিতে যোগ দেব।’’
আরও পড়ুন, এই শিশুটি এখন বক্স অফিস শাসন করছেন, কে ইনি?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ইদানীং রজনীর রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। ২০১৪-র এপ্রিলে ভোটের ঠিক আগে চেন্নাইতে নির্বাচনী প্রচারে হঠাত্ই রজনীকান্তকে ডেকে নিয়েছিলেন মোদী স্বয়ং। যদিও রজনীর দাবি ছিল, সেই সভা রাজনৈতিক ছিল না।
এত দিনে জীবনের একটা বড় ভুলও বুঝতে পেরেছেন রজনীকান্ত। কিন্তু ভুলটা বুঝতে সময় লাগল দীর্ঘ ২১ বছর!
কী সেই ভুল?
২১ বছর আগের ঘটনা। সরাসরি রাজনীতিতে যোগ না দিলেও ১৯৯৬-এ ডিএমকে জোটকে সমর্থন করেছিলেন রজনীকান্ত। সেই ঘটনাকে এত দিন পর ‘পলিটিক্যাল অ্যাক্সিডেন্ট’, অর্থাত্ রাজনৈতিক দুর্ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেছেন রজনী। সে সময় তাঁর নাম ব্যবহার করে বেশ কিছু মানুষ রাজনৈতিক সুবিধাও আদায় করেছিলেন। যা একেবারেই ঠিক হয়নি বলে মনে করেন নায়ক। এ দিনের ‘দরবার’-এ তিনি বলেন, ‘‘আমার কিছু অনুরাগী আমাকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে। রাজনীতি খারাপ নয়। তবে এটা থেকে ভুল ভাবে টাকা রোজগারের ধান্দা করাটা খারাপ।’’
রজনীকান্ত রাজনীতিতে যোগ দিলে আমূল বদলে যাবে দক্ষিণী রাজনীতির চালচিত্র। অন্তত এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে আদৌ তা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটল না।