বিয়ের সময়ে রাজকুমার রাওকে সিঁদুর পরিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী পত্রলেখা।
বিয়ের সময় স্বামী যদি স্ত্রী-র সিঁথিতে সিঁদুর এঁকে দিতে পারেন, স্ত্রী-ই বা স্বামীকে সিঁদুর পরাতে পারবেন না কেন! বিয়ে তো উভয়েরই হচ্ছে। তবে এত কিছু হিসেবনিকেশ না করেই বিয়ের সময় অভিনেতা রাজকুমার রাওকে সিঁদুর পরিয়েছিলেন তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী পত্রলেখা। অভিভূত হয়েছিলেন সকলে। লিঙ্গবৈষম্যের ছায়াঘেরা সমাজে এ বিয়ে নতুন প্রজন্মের সামনে উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে, এমনটা ভেবেছিলেন একাংশ।
২০২১ সালের নভেম্বর মাস। চণ্ডীগড়ে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রাজকুমার ও তাঁর দীর্ঘ দিনের বান্ধবী পত্রলেখা। বিয়ের আসরে রাজকুমার স্ত্রীকে সিঁদুর পরানোর পর তাঁকেও পাল্টা সিঁদুর পরাতে অনুরোধ করেন। পত্রলেখাও তখন হাসিমুখে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন স্বামীকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজকুমার রাও জানান, পুরো ব্যাপারটাই ছিল অপরিকল্পিত। আবেগের বশে বিয়ের মণ্ডপে তাঁরা এ পথে হাঁটেন।
বিয়ের আগে ১১ বছর পত্রলেখার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ‘বধাই হো’-র অভিনেতা। ২০১৪ সালে হনসল মেহতার ছবি ‘সিটিলাইটস’-এ একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন যুগল। প্রেম তাঁদের কাছে রূপকথার রাজ্যের মতোই মায়াবি। তবে সমানাধিকারের প্রশ্নেও যে তাঁরা সমান সচেতন, সেই উদাহরণ হয়ে উঠেছে বিয়ের এই সিঁদুর-রাঙা রীতিপালন।
রাজকুমারের কথায়, ‘‘আমাদের বিয়ে নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে, মানুষ প্রশংসা করেছেন, তাতে আমাদের ভাল লেগেছে। আমি সমতায় বিশ্বাসী। কাউকে নিচু চোখে দেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, স্ত্রীকে তো নয়-ই। আমরা দু’জনেই সমান এবং রীতিপালনও সে ভাবেই হওয়া উচিত। আমি আশা রাখি, সব মানুষ এক দিন এটা বুঝবেন।’’
রাজকুমারের নতুন ছবি ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’ মুক্তি পাচ্ছে ১৫ জুলাই। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সানিয়া মলহোত্র। এটি একই নামের একটি তেলুগু ছবির রিমেক। পরিচালনা করেছেন শৈলেশ কোলানু, যিনি মূল ছবিটিরও পরিচালক ছিলেন।