(বাঁ দিকে) অক্ষয় কুমার-টুইঙ্কল খন্না, রাজেশ খন্না(ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২৩ বছরের দাম্পত্য জীবন অক্ষয় কুমার-টুইঙ্কল খন্নার। কত কিছুই ঘটেছে তাঁদের বিবাহিত জীবনে। ভাল সময় যেমন কেটেছে, তেমনই একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অক্ষয়ের। কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যিনি সামাল দিয়েছেন, তিনি অক্ষয়-পত্নী টুইঙ্কল। ইন্ডাস্ট্রির সকলের কাছে টিনা নামেই পরিচিত তিনি। অক্ষয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধার পর অভিনয় ছাড়েন।এই মুহূর্তে লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। জামাই হিসাবে নাকি মোটেই অক্ষয়কে পছন্দ ছিল না টুইঙ্কলের বাবা রাজেশ খন্নার। অক্ষয় ও টুইঙ্কল যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই সময় জামাইকে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন রাজেশ। মেয়ে টিনাকে যেমন সাবধান করেছিলেন, তেমনই শক্ত হাতে হাল ধরার উপদেশ দিয়েছিলেন।
ফিল্মফেয়ার শুট-এ টুইঙ্কলের সঙ্গে অক্ষয়ের প্রথম পরিচয়। তখন থেকেই তিনি টুইঙ্কলের মন জয় করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু রাজেশ-কন্যার মন পাওয়া অত সহজ নয়। তাই বার কয়েক অক্ষয়কে ঘুরিয়েছেন তিনি। শেষমেশ বাজিমাত অক্ষয়ের। অবশেষে ‘খিলাড়ি’ কুমারকে বিয়ে করতে রাজি হন টুইঙ্কল। তবে জামাইকে নিয়ে রাজেশের সন্দেহ ছিল, এই ছেলে নাকি বড্ড নয়-ছয় করে। রাজেশ খন্না এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এ কখন যে কী করে বুঝি না। এই ছেলে বড্ড নয়-ছয় করে।’’
তবে মেয়ের পছন্দ বলে কথা! বিয়ের সময় টুইঙ্কলকে বাবা হিসাবে উপদেশ দিয়েছিলেন, শক্ত হাতে হাল ধরতে। নয়তো হাত ফস্কে বেরিয়ে যেতে পারে। অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মা ডিম্পল কাপাডিয়ার থেকেও বেশ কিছু পরামর্শ পেয়েছেন টুইঙ্কল। অক্ষয় যখন টুইঙ্কলকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মা হিসাবে একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছিলেন ডিম্পল। টুইঙ্কল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অক্ষয় তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরেই ডিম্পল বলেছিলেন, “এই ভাবে হবে না। আগে দু’বছর একসঙ্গে থাকো তোমরা। যদি দেখো মানিয়ে নিতে পারছ, তবেই বিয়ে করবে।”