অপেক্ষার অবসান।
২০১৯-এ ছবি তৈরির ঘোষণা। ২০২০-তে মুক্তির কথা ছিল। অতিমারির সঙ্গে এক বছর যুদ্ধ চালিয়ে নতুন বছরের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’। রাজ মানেই এখন বিষয়নির্ভর ছবি। আর তাতে রাজ-ঘরনি শুভশ্রী নায়িকা কম অভিনেত্রী বেশি। ‘পরিণীতা’ ছবি থেকেই চেনা ছক থেকে বেরিয়ে নিজেদের ভেঙেছেন ‘রাজশ্রী’। তারই যেন আরও পরিণত রূপ ‘ধর্মযুদ্ধ’।
তারকা দম্পতির পাশাপাশি ছবির জোরালো খুঁটি এক ঝাঁক তারকা। রয়েছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, সপ্তর্ষি মৌলিক, পার্নো মিত্র, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী। ২০২১ মঞ্চ, পর্দা সফল প্রবীণ অভিনেত্রী স্বাতীলেখাকে কেড়ে নিয়েছে। নতুন বছরে পর্দাজুড়ে তিনি নব রূপে। ‘ধর্মযুদ্ধ’ ছাড়াও স্বাতীলেখা জীবন্ত হবেন উইনডোজ প্রোডাকশনের ‘বেলাশুরু’ ছবিতে। সপ্তর্ষি এই ছবিতে শুভশ্রীর স্বামী। পেশায় অটোচালক। খবর, শুভশ্রীর পাশাপাশি তাঁর ‘লুক’-এও বড় পরিবর্তন এনেছেন পরিচালক। শ্যুট শুরুর আগে তাঁকে অটো চালানো শিখতে হয়েছিল
ছবি-মুক্তির খবর সপ্তর্ষি প্রথম জানলেন আনন্দবাজার অনলাইন থেকে। আনন্দের পাশাপাশি ছোট্ট আক্ষেপ তাঁর, রাজ যখন ছবিটি বানিয়েছিলেন সেই সময় দেশ-রাজ্যজুড়ে ধর্ম নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। ছবিটি সেই সময় মুক্তি পেলে আরও প্রাসঙ্গিক হত। এখন কি তা হলে ছবির প্রাসঙ্গিকতা তুলনায় কমে গিয়েছে? মানতে রাজি নন স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের একমাত্র জামাই। তাঁর কথায়, দেশ বা রাজ্যে ধর্মযুদ্ধ থিতিয়েছে। থেমে যায়নি। তা ছাড়া, দর্শক অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তাঁরা ছবি দেখে বুঝবেন পরিচালক কী বলতে চাইছেন। আশা, তাঁরা খুশি মনেই ছবিটিকে গ্রহণ করবেন। শুভশ্রীর স্বামী হওয়ার অনুভূতি কেমন? ‘‘অনবদ্য’’, দাবি সপ্তর্ষির। ‘‘সারা ছবিতেই শুভ অন্তঃসত্ত্বা। সেই অনুভূতি ধরে রেখে ছবিতে অভিনয় করে যাওয়া সহজ নয়। এত দিন গ্ল্যামারাস নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে 'পরিণীতা' থেকে শুভ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এ ভাবে ভেঙে নিজেকে প্রমাণ করতে যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন’’, বক্তব্য অভিনেতার।