প্রেক্ষগৃহ থেকে নিজের ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’ তুলে নিলেন রাজ চক্রবর্তী। জায়গা করে দিলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি ‘বিসমিল্লা’র।
১৯ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ছবি ‘বিসমিল্লা’। প্রায় প্রত্যেকেই ‘বিসমিল্লা’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু এত প্রশংসা কুড়োনোর পরও শহরের সরকারি প্রেক্ষাগৃহ ‘নন্দন’-এ জায়গা পায়নি ইন্দ্রদীপের ‘বিসমিল্লা’। বুধবার রাতে নেটমাধ্যমে সেই দুঃখই প্রকাশ করেছিলেন পরিচালক। তিনি লেখেন, ‘এই সপ্তাহেও নন্দনে আসছে না বিসমিল্লা। কারণ আমার ধারণা, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছবি রয়েছে। লক্ষ্মী ছেলে, ধর্মযুদ্ধ, ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চকে শুভেচ্ছা।’
এই লেখার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি প্রেক্ষগৃহ থেকে নিজের ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’ তুলে নিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। জায়গা করে দিলেন ‘বিসমিল্লা’র। শুক্রবার থেকে দুপুর ১টার শো-তে প্রদর্শিত হবে ‘বিসমিল্লা’। খুশি পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় ‘বিসমিল্লা’র পরিচালকের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “নন্দনের নিয়মই হল ছবির মুক্তির সময় অনুযায়ী ক্রমানুসারে প্রদর্শিত হয় ছবি। সেই অনুযায়ী ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ’র পর দেখানোর কথা ছিল ‘বিসমিল্লা’। আমরা যদি ভাল ফল করতে না পারতাম, তখন সেখান থেকে সরে গিয়ে ‘লক্ষ্মী ছেলে’ র আসার কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে ‘লক্ষ্মী ছেলে’ কী করে ঢুকে গেল কিন্তু আমরা পেলাম না। আমি তো এক জনকে উদ্দেশ করে লিখতে পারি না। তাই এমন লিখেছিলাম। কিন্তু রাজ তো রাজই। ও নিজের ছবি সরিয়ে নিয়ে আমার ছবির জায়গা করে দিয়েছে।”
শেষ দু’সপ্তাহ রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’ প্রদর্শিত হচ্ছিল নন্দনে। হচ্ছিল ‘হাউসফুল’-ও। কিন্তু তার পরও সহকর্মীর জন্য এমন সিদ্ধান্ত পরিচালকের। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমি তেমন কিছু বড় কাজ করিনি। আমি নন্দনের কেউ নই। আমার হাতে যেটুকু আছে আমি সেটাই করতে পারি। ইন্দ্রদীপ নতুন পরিচালক। ওঁর জন্য তাই জায়গা করে দিয়েছি। আমি সবাইকেই সাহায্য করতে চাই। আমার যতটা সামর্থ্য, সেই অনুযায়ী সকলকে সাহায্য করতে পারলে ভালই লাগবে।”