অহংকার সরিয়ে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলিউড?
মন্দার বাজারে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলিউড? আদৌ কি পারবে? এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের। ‘লাল সিংহ চড্ডা’, ‘রক্ষা বন্ধন’, ‘দোবারা’— একের পর এক ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ায় রুটিরুজিতে টান পড়ছে অভিনেতা, নির্মাতা, ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে বহু চলচ্চিত্রকর্মীর। সে দিকে শনিবারই আঙুল তুলেছিলেন দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডা। এ বার আরও একটু এগিয়ে সমাধানের পাঁচটি উপায় বাতলালেন পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া।
বলিউডে অন্যান্য সতীর্থ পরিচালকদের উদ্দেশে রাহুল লিখলেন, ছবি সফল করতে হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
বিষয়গুলি তাঁর মতে এই প্রকার:
১. ভাল মানের ছবি বানাতে হবে।
২. প্রযোজনার খরচ কমাতে হবে।
৩. টিকিটের দাম অনেকখানি কমিয়ে আনতে হবে।
৪. ছবি মুক্তির তিন মাসের মধ্যে ওটিটিতে সেটিকে দেওয়া যাবে না।
৫. পরিচালকদের তরফে বেশি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করা সঙ্গত নয়। অহংকার বর্জন করে স্থির থাকাই উচিত।
নেটমাধ্যমে পরিচালকের এই প্রস্তাবগুলি অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দু’এক জন আরও কিছু প্রস্তাব যোগ করেন ওই তালিকায়। যেমন, ‘ভাল চিত্রনাট্যকার চাই', 'রিমেক বানানো বন্ধ করা প্রয়োজন’ ইত্যাদি। সেই সঙ্গে ‘হিন্দু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করা, উপহাস করা বন্ধ করুন’— পাওয়া গেল এমন আরও দু’একটি নির্দেশ।
দেখা গেল, যত মত তত পথ। তবে রাহুলের প্রস্তাব কোন কোন পরিচালক গ্রাহ্য করলেন, সে নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
২০০২ সাল। ‘কহতা হ্যায় দিল বার বার’ দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন রাহুল। পরবর্তীতে তিনি ‘পরজানিয়া’, ‘মুম্বই কাটিং’ এবং ‘লমহা’-র মতো ছবি তুলেছেন। তাঁর শেষ ছবি ‘রইস’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৭ সালে। শাহরুখ খান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এবং মাহিরা খান সে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।