রাহুল-রুকমার পুজো-ভ্রমণ
পুজোয় তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবে বাইরে। পঞ্চমীতে একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ কেউ ছাড়ে?
সারা দিন তাই একসঙ্গে রাজপথে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়-রুকমা রায়। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’র ‘রাজা-মাম্পি’। উপলক্ষ, মণ্ডপ, প্রতিমা বিচার। সেই ফাঁকে দেখে নিলেন দক্ষিণ কলকাতার একাধিক আবাসনের পুজো। চমকেও দিলেন অনুরাগীদের। লাইভ সম্প্রচারে এসে। মাম্পির পরনে চওড়া কালো পাড়ের শাড়ি। খোলা চুলে, গয়নায় লা-জবাব অভিনেত্রী। রাজার কিন্তু ছকভাঙা সাজ। পাঞ্জাবি-পাজামায় দেখে অভ্যস্ত চোখগুলো হোঁচট খেয়েছে হাল্কা পান্না সবুজ টি শার্ট আর ট্রাউজার্স, রোদচশমায়। অনুরাগীদের কাছে জুটির আত্মসমর্পণ, ‘‘পুজোর আগে শেষ দেখা। সারা দিন একসঙ্গে। একটা লাইভ হবে না!’’ সেই ভাবনা থেকেই ‘রাম্পিয়ানস’-দের জন্য জুটির এই উপহার, দাবি রাহুল-রুকমার।
দু’জনকে এক সঙ্গে পেয়েই ধেয়ে এসেছে প্রশ্নবাণ। ‘মাম্পি’ শাড়িতে অসাধারণ। ‘রাজা’ চেনা সাজে ধরা দেননি কেন? সঙ্গে সঙ্গে ছন্দে ছন্দে রাহুলের উত্তর, ‘‘সারা বছর পাঞ্জাবি পরি ভাই। আজ আর পাঞ্জাবি পরিনি তাই!’’ জবাবে চমৎকৃত রুকমাও। কামালগাজি ছেড়ে ততক্ষণে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন পরের আবাসনে। এবং সাময়িক বিরতি লাইভে।
অল্প কথায় মন ভরেনি অনুরাগীদের। অখুশি রাহুল-রুকমাও। ফলে, ফের লাইভ। আবার চলন্ত গাড়িতে বসে কথার বানভাসি। অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তরে ‘রাজা’র সরল স্বীকারোক্তি, ‘‘দারুণ আছি। পুজোয় ঘুরছি, খাচ্ছি। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারছি। পঞ্চমী এর থেকে ভা্ল আর কী হতে পারে?’’ ‘মাম্পি’রও সায় সেই কথায়। এর পরেই রাহুলের বিচিত্র অনুরোধ, গান গাইতে হবে রুকমাকে। নইলে কামড়ে দেবেন তিনি! শুরু থেকে এ ভাবেই জমজমাট পর্দার যুগলের রসায়ন। এ দিন রুকমা গেয়ে উঠলেন শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া ‘লগন লাগি রে তোসে পিয়া রে'। কাকতালীয় ভাবে গানটি দু’জনেরই খুব প্রিয়।
এ ভাবে রুকমাকে নিয়েই রাহুল পৌঁছে গিয়েছিলেন বাঘাযতীন তরুণ সংঘ ক্লাবের পুজোয়। যেখানে একদা ‘পুজোর মুখ’ ছিলেন তাঁর ‘প্রাক্তন’ প্রিয়াঙ্কা সরকার। যে পুজো প্রাঙ্গণে প্রতি বছর দাপিয়ে বেড়ায় তাঁদের একমাত্র সন্তান সহজ। এ বছরেও বাবা যখন এসেছিলেন, মণ্ডপে ছিল কি সে?