(বাঁ দিকে) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে) সাহানা বাজপেয়ী। গ্রাফিক : সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডে যখন প্রতিবাদে সরব গোটা বংলার মেয়েরা, সেখানে প্রায় নীরব তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী সাংসদেরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মাল্য, শতাব্দী রায়েরা। কোথাও কোথাও পোস্টার পড়েছিল ‘লাপতা লেডিজ়’। রাজ্য জুড়ে যখন এমন প্রতিবাদ চলছে, তখনও কেন চুপ তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদেরা। সেই নিয়ে চলেছে বিস্তর কাঁটাছেড়া। যদিও বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো করে এই ঘটনার পর প্রথম মুখ খুললেন হুগলির সাংসদ রচনা। ভিডিয়োবার্তায় নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েক বার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। রচনার ভিডিয়ো যেন হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে নেটাগরিকদের কাছে। ইতিমধ্যে একাধিক মিম ছড়িয়েছে নেটমহল্লায়। এ বার সাংসদ অভিনেত্রীর চোখে জল দেখে কি নাম না করেই ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বলে কটাক্ষ করলেন সঙ্গীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ী?
সাহানা একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘‘কুম্ভীরাশ্রু দেখিতে দেখিতে এই প্রশ্নটাই মাথাচাড়া দিতেছে অনেকের মতোই আমার মনে: তা স্মাজ-প্রুফ কাজলটির ব্র্যান্ডটি যদি বলিতেন, খুবই উপকৃত হইতাম।’’ আসলে রচনা যখন ভিডিয়োটি করেন, তাঁর চোখে ছিল কাজল। বার বার আবেগতাড়িত হয়ে যখন চোখের জল মুছেছেন সেই সময় কাজলের স্থায়িত্বের প্রসঙ্গ টেনেই কি কটাক্ষ করলেন সাহানা?
সাহানা এ-ও স্পষ্ট করে দেন টিভি সঞ্চালিকা ও অভিনেত্রীর সঙ্গে কোথায় তাঁর ফারাক! তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের আবার নির্লজ্জ নেকুপুসু লুতুপুতু অতি দুর্বল-অভিনয়জাত নাকিকান্না কান্দিতেও হয় না। দুপুর গড়াইতে না গড়াইতে এমনিই ঘামে লেপটিয়া যায় । টিভিতে প্রাত্যহিক সান্ধ্যকালীন সুড়সুড়ি দিতে না হইলেও আমাদেরও ‘মেকআপের বুকিং’ দিয়ে ‘রাতের পথনাটিকা’য় শামিল হইতে হয় ‘সেলফিখোর নেশাড়ুদের’ ন্যায়।’’ যদিও গোটা পোস্টে কোথাও অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তবু ঘটনার যা বিবরণ দিয়েছেন, তাতে হেঁয়ালি থাকলেও সন্দেহের তির যেন বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর দিকেই।