এখনও একমাত্র ছেলেকে শাসন করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
কথা না শুনলেই পিঠে চড়-চাপড়! এ ভাবেই এখনও একমাত্র ছেলেকে শাসন করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চে এ কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন সঞ্চালিকা। তাঁর স্পষ্ট জবাব, ‘‘দু-তিন বার ভাল করে বলি। বোঝানোর চেষ্টা করি। না শুনলে পিঠে চড়-চাপড়! খালি হাতেই পিটিয়ে দিই।’’ ২৩ জানুয়ারি অভিনেত্রী মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে যোগ দিচ্ছেন জি বাংলার এই রিয়েলিটি শো-এ। উদ্দেশ্য, এক ঢিলে দুই পাখা মারা। শো-তে এসে দিদির সঙ্গে খেলার সুযোগ। সেই সঙ্গে চড়ুইভাতির আমেজ বাচ্চাদের মনে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল। এ দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন অভিনেত্রী মৈত্রেয়ী মিত্র, স্মৃতিকা মজুমদার এবং তাঁদের ছেলেরা। অতিমারির কারণে শিশুরা ঘরবন্দি। কিছুক্ষণের জন্য তাদের বদ্ধ জীবনে মুক্তির স্বাদ আনতেই চ্যানেলের এই আয়োজন, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
২৩ জানুয়ারি অভিনেত্রী মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে যোগ দিচ্ছেন জি বাংলার রিয়েলিটি শো-এ
সন্তান সঙ্গে। ফলে, খেলার ফাঁকে মৈত্রেয়ী, স্মৃতিকা অভিনেত্রী কম, মা বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে সন্তান শাসনের পদ্ধতি। তখনই ফাঁস, রচনা এখনও তাঁর ছেলে প্রনীলকে রীতিমতো শাসন করেন! ছেলে তাই প্রায়ই নাকি আফশোস করে বলে, ‘‘এত বড় হয়ে গেলাম, এখনও মারবে! আর কত মার খাব?’’ রচনার সাফ জবাব, ‘‘দরকারে বিয়ে করতে যাওয়ার আগে আমার হাতে মার খেতে হবে তোকে।’’
এর থেকেও ভয়ানক কাণ্ড, অনুষ্ঠানে এসে রচনাকে দেখে রীতিমতো সিটি বাজিয়েছে স্মৃতিকার চার বছরের ছেলে আর্যব! একরত্তির কাণ্ড দেখে বিস্মিত খোদ ‘দিদি নম্বর ১’। তাঁর বিস্ময় বুঝি আরও উৎসাহিত করেছে খুদেকে। তার সিটি বাজানো থামায় কে? অবাক রচনা জানতে চান, এত নিখুঁত ভাবে সিটি বাজাতে কে শিখিয়েছেন আর্যবকে? সারল্যে মাখামাখি জবাব এসেছে। খুদের দাবি, ‘‘বাবা শিখিয়েছে! গান চালিয়ে আমি আর বাবা নাচি। তখন বাবা ঠিক এ ভাবেই সিটি বাজায়!’’