রাহুল দেব বর্মনের স্মরণে আবীর, দর্শনা, সৃজিত
বৃষ্টি দেখে ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ আনমনা? নেটমাধ্যম বলছে, একা সত্যান্বেষী ‘ব্যোমকেশ’ নন। দল ভারী করেছেন বাংলার আরও তারকা। যত না বৃষ্টি, তার থেকেও তাঁদের গাঢ় প্রেম রাহুল দেব বর্মনের সঙ্গে। সময়ে-অসময়ে তাঁরা কান পেতে শোনেন প্রিয় ‘পঞ্চমদা’-র গান। রবিবার রাহুল দেব বর্মনের ৮২ তম জন্মদিন। তাঁরই গানে তাঁকে ছুটির বিকেলে মনে করলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, দর্শনা বণিক।
কী ভাবে? দুই জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী বেছে নিয়েছেন পঞ্চমের দুটো বিখ্যাত গান। সেই গান দিয়ে রিল ভিডিয়ো বানিয়ে ভাগ করে নিয়েছেন নেটমাধ্যমে। দেখতে দেখতে ভিডিয়ো দু’টি ভাইরাল। আবীরের পছন্দ ১৯৭৯ সালের ‘মঞ্জিল’ ছবির বিখ্যাত গান, ‘রিমঝিম গিরে শাওন’। নেপথ্যে বেজেছে সেই গান। মুখে মাস্ক পরা আবীর শহর কলকাতার পথে। গাড়ির জানলায় বৃষ্টিবিন্দু। ঝাপসা কাচের ভিতর দিয়েই শহর অপরূপা ‘সত্যান্বেষী’-র চোখে।
সেই ভিডিয়োর মুখবন্ধে আবীর যদিও সব কৃতিত্ব দিয়েছেন, তাঁর প্রিয় পঞ্চমদা আর কিশোর কুমারকে। অভিনেতার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘বৃষ্টি যে আমি খুব ভালবাসি, তেমনও নয়। তবে পঞ্চমদার সুরে কিশোর কুমারের গান সঙ্গী হলে আমিও বৃষ্টির প্রেমে পড়তে রাজি আছি।’ ইতিমধ্যেই তাঁর রাহুল-স্মরণ নিয়ে উচ্ছ্বসিত নেটাগরিকেরা। তাঁদের মতে, অনেক তারকাই রিল ভিডিয়ো বানান। কিন্তু আবীরের মতো এত সূক্ষ্ম অনুভূতি অনেকেরই নেই।
একই পথে হেঁটেছেন দর্শনা বণিকও। তিনি বেছে নিয়েছেন ১৯৭৩ সালের ছবি ‘অনামিকা’। যে ছবিতে রাহুল দেব বর্মনের সুরে ‘বাহোঁ মে চলে আও’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। জয়া ভাদুড়ির ঠোঁটে সেই গান অন্য মাত্রা পেয়েছিল। কানে ঝুমকো, খোলা চুলের দর্শনা যেন অষ্টাদশী। রিল ভিডিয়োয় ঠোঁট মিলিয়ে অভিনেত্রী তাঁর অজানা প্রেমিকের উদ্দেশে অভিমানী। মুখবন্ধে জানিয়েছেন, আজও এই গান তাঁকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করে!
কিংবদন্তি সুরকার, শিল্পীকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় স্মরণ করেছেন শিল্পীর সম্পর্কিত মামা অভিজিৎ দাশগুপ্তের ভাগ করে নেওয়া একটি ভিডিয়ো দিয়ে। ভিডিয়ো বলছে, ৩৬/১ সাউথ এন্ড পার্কে রাহুল দেব বর্মনের বাড়িতে সকাল থেকেই অনুরাগীদের ভিড়। সেখানে অজস্র ফুল আর শিল্পীর গানে পঞ্চম যেন আজও জীবিত।
অমিত কুমার ফ্যান ক্লাব থেকে মাল্যদান রাহুল দেব বর্মনকে
পাশাপাশি, রাহুল দেব বর্মনের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাদার্ন অ্যাভেনিউ-তে অবস্থিত শিল্পীর মূর্তিতে অমিত কুমার ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হয়। করোনা আবহে কোনও রকম জমায়েত ছাড়াই এই আয়োজন করা হয় বলে খবর।