Arijit Singh

সমাজমাধ্যমে সারা দিন কুণালের সঙ্গে বাদানুবাদ, সন্ধ্যায় হঠাৎ ‘বেপাত্তা’ অরিজিৎ!

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অরিজিতের গান এই অ্যাকাউন্ট থেকেই শিরোনামে আসে। এখন তাঁর সেই অ্যাকাউন্টের অস্তিত্বই নেই! আদৌ অরিজিৎ সিংহের কোনও এক্স (সাবেক টুইট) হ্যান্ডল আছে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ২১:৫৪
Share:

অরিজিৎ সিংহ। ছবি: ফেসবুক।

দিন কয়েক ধরে ‘হুঅ্যামআই’ নামে সমাজমাধ্যমের পাতায় নিয়মিত হাজির তিনি। আরজি কর-কাণ্ডে মুখ খুলেছেন, গানও বেঁধেছেন। সেই গান জায়গা করে নিয়েছিল এই নামাঙ্কিত এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার)। শুক্রবার সকাল থেকেও এই মাধ্যমেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর বার্তালাপ চলেছে পুরোদমে। সন্ধ্যায় সেই সমাজমাধ্যম থেকে হঠাৎ ‘বেপাত্তা’ অরিজিৎ সিংহ! নজরে আসতেই ফের কাঠগড়ায় তিনি। আদৌ কি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে গায়কের কোনও অ্যাকাউন্ট ছিল? পুরনো প্রশ্ন ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। এই রহস্য আরও ঘনীভূত হয় ‘অরিজিৎ সিংহ’ নামের আরও একটি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের কারণে। সেখানে কিন্তু ভীষণ ভাবে বর্তমান তিনি। সেখানে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বাঁধা ‘আর কবে’ গানটি এখনও রয়েছে।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে অরিজিৎ নেই, বিষয়টি নজরে আসতে আসতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ‘হুঅ্যামআই’-কেই তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ড হিসাবে দাবি করে এসেছেন অনুরাগীরা। সেখানে একের পর এক বার্তা দিয়েছেন তিনি। কখনও লিখে, কখনও কণ্ঠ রেকর্ড করে। তেমনই একটি বার্তা শুক্রবার সকালেও শোনা যায়। সেখানে তিনি সাফ বলেছেন, “অন্যায়, অপরাধ প্রত্যেক স্তরে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর মুখ হয়ে উঠেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগিয়ে যাওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। প্রত্যেকের প্রতিবাদ একত্রিত হয়ে যদি সুসংহত রূপ নেয়, তা হলে সব অসম্ভব সম্ভব হবে।” বাংলা থেকেই বিপ্লব হবে, এই বক্তব্যও রাখেন। এর পরেই বাদানুবাদ শুরু কুণালের সঙ্গে।

একই সমাজমাধ্যমে কুণাল লেখেন, ‘‘অরিজিৎ সিংহ অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভাল। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না অথবা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগৎ, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?” পাল্টা একের পর এক হুলফোটানো জবাব আসে ‘হুঅ্যামআই’ থেকেও। তার পরেই আচমকা নীরবতা। অ্যাকাউন্টটি থাকলেও সেখানে কোনও পোস্ট নেই! তা হলে কি সত্যিই ওই অ্যাকাউন্টটি অরিজিতের নয়? বেফাঁস মন্তব্য করে বেগতিক দেখেই কি তাঁর নামে চালানো অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে? না কি, গায়কের উপর রাজনৈতিক মহল কোনও চাপ সৃষ্টি করার ফলে এই পথে হাঁটলেন তিনি? উত্তর মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement