বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন অভিষেক এবং প্রসেনজিৎ।
মাত্র ৫৭-য় চলে গেলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সহকর্মীর আকস্মিক প্রয়াণে স্তম্ভিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
আনন্দবাজার অনলাইনকে ফোন ধরেই এক টানা বলতে শুরু করলেন প্রসেনজিৎ, ‘‘একের পর এক আমায় মৃত্যু দেখে যেতে হয়। আর প্রতিক্রিয়া দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু অভিষেকের খবরটা সকালে শোনার পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছি, এর প্রতিক্রিয়া আমি দিতে পারব না। ওর বিয়েতে বরকর্তা হয়ে গিয়েছিলাম আমি। সেই দিনটার কথা আজ মনে পড়ছে। ওর সঙ্গে যা কিছু ভাল স্মৃতি সেটাই রেখে দিতে চাই। এর বেশি সত্যি ওর জন্য আমি আর কোনও শব্দ ব্যবহার করতে পারছি না।’’
এক সময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যখন খরার মুখে, তখন হাল ধরেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ইন্ডাস্ট্রি অভিষেক এবং প্রসেনজিতের মধ্যে ডুয়েল লড়াতে চাইলেও দুই অভিনেতার মধ্যে বরাবর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে নায়কের ভূমিকায় টলিউডে বক্স অফিস ভরিয়ে রেখেছিলেন অভিষেক। অভিষেকের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রসেনজিৎ তাঁকে এবং ঋতুপর্ণাকে নিয়ে ছবি করেছেন। সহকর্মীর আকস্মিক প্রয়াণে প্রায় বাক্রুদ্ধ অভিনেতা।