Tollywood

এক ছবিতে শঙ্কু ও ফেলুদা, সত্যজিতের জন্মশতবার্ষিকীতে জোড়া চমক

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৮
Share:

সন্দীপ রায়

গত সাত মাস ধরে প্রায় বন্ধ থাকা একটা ইন্ডাস্ট্রির চাকা ধীরে ধীরে ঘুরতে শুরু করেছে। বোঝা গিয়েছে, অতিমারি যতই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করুক, দ্য শো মাস্ট গো অন... প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এত দিন নতুন কোনও বড় ছবির কাজে হাত দেয়নি বললেই চলে। সত্যজিৎ রায়ের ১০০তম জন্মবর্ষ উদ্‌যাপনে ফেলুদা এবং প্রোফেসর শঙ্কুকে একটি ছবিতে নিয়ে আসছে তারা। পরিচালনার দায়িত্বে সন্দীপ রায়।

Advertisement

কী ভাবে দুই আইকনিক চরিত্র এক ছবিতে আসবে? ‘‘এক ছবি মানে কিন্তু এক ফ্রেম নয়। ছবির একটা হাফে ফেলুদা, অন্য হাফে শঙ্কু, এ ভাবে ভাগ করছি আমরা,’’ ব্যাখ্যায় বললেন সন্দীপ রায়। জানালেন, কোন কোন কাহিনি নিয়ে ছবি করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। অতিমারি পরিস্থিতিতে বিদেশে গিয়ে শুটিংয়ে সমস্যা রয়েছে। এ দিকে প্রোফেসর শঙ্কু বললে পাঠকের মনে বিদেশের গল্পগুলোর কথাই প্রথমে আসে। উল্টো দিকে ফেলুদা মানেই অধিকাংশই দেশের গল্প। পরিচালকের কথায়, ‘‘শঙ্কু আর ফেলুদার মতো দুটো চরিত্রকে এক ছবিতে নিয়ে আসাটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আশা করি, দর্শকের এই এক্সপেরিমেন্ট ভাল লাগবে।’’ শঙ্কুর প্রথম দিকের গল্প, যেগুলোর প্রেক্ষাপট গিরিডি সেই রকম কাহিনি বাছতে চান তিনি। তবে ফেলুদার কাহিনির ক্ষেত্রে কোনও কিছুই খোলসা করলেন না সন্দীপ। শঙ্কুর মতো ফেলুদারও প্রথম দিকের কাহিনি নির্বাচন করলে, সেখানে জটায়ুর চরিত্র থাকবে না। সে ক্ষেত্রে দর্শক খানিক নিরাশ হতে পারেন।

শঙ্কুর চরিত্রে প্রত্যাশামতো ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কেই ভাবা হচ্ছে। তবে ফেলুদা কে হবেন, তা এখনই ভাঙতে চাইলেন না নির্মাতারা। ২০১৪ সালে আবীর চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘বাদশাহী আংটি’ এবং ২০১৬ সালে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে নিয়ে ‘ডবল ফেলুদা’ করেছিলেন সন্দীপ। তবে দু’টি আলাদা প্রযোজনায়। সে কারণেই এ বার ফেলুদা কে, তা নিয়ে আগ্রহ একটু বেশি।

Advertisement

আরও পড়ুন: 'ব্যারিকেড পর্যন্ত সবাই সুশৃঙ্খল, মণ্ডপে ঢুকলেই বিশৃঙ্খলা?' হাইকোর্টের রায়ে দ্বিধায় রুদ্রনীল

আরও পড়ুন: মদন মিত্রের উপস্থিতিতে মাস্ক খুলে, সামাজিক দূরত্ব ভুলে পুজো উদ্বোধনে শ্রীময়ী!

করোনার যা পরিস্থিতি, তাতে জটিলতা এড়িয়ে শুটিং করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। সন্দীপের কথায়, ‘‘শুটিং নিয়ে সত্যিই ভাবনায় আছি। জানুয়ারি মাস নাগাদ ফ্লোরে যাব ঠিক করেছি। আশা করি, তখন পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভাল হবে।’’ ছবিটি ২০২১ সালের মে মাস নাগাদ মুক্তির পরিকল্পনা প্রযোজনা সংস্থার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement