ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি বলিউড প্রযোজক বাসু ভাগনানিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। খবর ছড়িয়েছিল, বাজারে তাঁর প্রায় ২৫০ কোটি টাকা দেনা। ধার শোধ করতে তিনি মুম্বইয়ে সংস্থার (পূজা এন্টারটেনমেন্ট) সাত তলা অফিস বিক্রি করে দিয়েছেন। এ বার বাসু প্রসঙ্গে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করল‘এফডব্লিউআইসিই’ (ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ়)। সংস্থার সভাপতি বিএন তিওয়ারি জানিয়েছেন, তিনটি ছবি (‘মিশন রানিগঞ্জ’, ‘গণপত’ ও ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’) বাবদ কলাকুশলীদের এখনও বাসুর থেকে ৬৫ লক্ষেরও বেশি টাকা পাওনা। সভাপতি জানান, গত বছর ‘মিশন রানিগঞ্জ’ ছবির পরিচালক টিনু দেসাই প্রযোজনা সংস্থার থেকে ৩৩ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা তাঁর পাওনা রয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ জানান।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একাধিক বার প্রযোজনা সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তখন জ্যাকি ভাগনানির (বাসুর পুত্র) বিয়ের কথা উল্লেখ করে তারা টাকা মেটানোর তারিখ পিছিয়ে দেয়। তিওয়ারি বলেন, ‘‘ওঁরা নিজেরা বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন, এ দিকে কারও টাকা মেটাচ্ছেন না। এটা ঠিক নয়।’’
‘এফডব্লিউআইসিই’ সভাপতির তরফে জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত বাসু জানিয়েছেন যে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে তাঁরা যাবতীয় বকেয়া টাকা পরিশোধ করে দেবেন। অন্যথায় তাঁদের ছবিতে ফেডারেশনের আর কোনও সদস্য ভবিষ্যতে কাজ করবেন না।
গত সপ্তাহে বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে বাসু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, যদি কারও কাছে তাঁর ধার থেকে থাকে, তা হলে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে তাঁরা তাঁর কাছে হাজির হতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁর নামে পাওনাদারদের মামলা করারও পরামর্শ দিয়েছেন বাসু। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে পরবর্তী দু’ মাসের মধ্যে তিনি তার সুরাহা করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি সত্যিই কর্মীদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেন কি না, সেটাই দেখার।